মেঘ-সূর্যের লুকোচুরির মধ্যেই শুরু হয়েছে এ বছরের নবদ্বীপ ফুটবল লিগ। প্রতিবছর জুন-জুলাই মাসে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এ বার দমবন্ধ করা গরমের কারণে খেলা শুরু হয়েছে অনেকটা পরে-অগষ্ট মাসের মাঝামাঝি নাগাদ। নবদ্বীপ আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল সেক্রেটারি মনোজ চট্টোপাধ্যায় বলেন,“গরমের জন্য লিগের খেলা এবার প্রায় দু’মাস পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে পুজোর আগে খেলা শেষ হবে কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না।”
দেরিতে শুরু হলেও জমে উঠেছে লিগের খেলা। ইতিমধ্যে সাব-জুনিয়র বিভাগের লিগ শেষ হয়েছে। তাতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উদয়ন সংঘ। রানার্স হয়েছে নির্ভিক সমিতি।
সাব জুনিয়রের খেলা শেষ হতেই শুরু হয়েছে জুনিয়র ডিভিশন লিগ। মোট ৯টি দলকে দুটি ভাগে ভাগ করে গ্রুপ লিগের খেলাও শেষ। রয়্যাল ক্লাব, বড়ালঘাট স্পোটিং ক্লাব, নদিয়া ক্লাব, প্রতাপনগর তরুণ সংঘ এবং প্রফুল্লনগর যুব সংঘকে নিয়ে তৈরী ‘গ্রুপ-এ’ থেকে সুপার লিগে উঠেছে নদিয়া ক্লাব এবং বড়ালঘাট স্পোটিং। অন্যদিকে অ্যাথলেটিক ক্লাব, কর্মমন্দির, নির্ভিক সমিতি ও মিলন সংঘকে নিয়ে তৈরী ‘গ্রুপ-বি’ থেকে সুপার লিগে উঠেছে নির্ভিক সমিতি এবং কলামন্দির। খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে সুপার লিগের খেলাও।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে লিগের দ্বিতীয় বিভাগ বা বি-ডিভিশনের খেলা। মোট ৬টি দল এই বিভাগে খেলছে। আজাদ হিন্দ ক্লাব, মিলন সংঘ, নির্ভিক সমিতি (জুনিয়র), উদয়ন সংঘ (জুনিয়র), তরুণ সংঘ এবং প্রফুল্লনগর যুব সংঘ। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছেজুনিয়র ডিভিশনের সুপার লিগ এবং বি-ডিভিশনের খেলা শেষ হলেই শুরু হবে প্রথম ডিভিশনের খেলা। নবদ্বীপের পাঁচটি মাঠে খেলা গুলি হচ্ছে। প্রতিদিন একাধিক করে খেলা হচ্ছে। আর এতেই চাপে পড়েছেন রেফারীরা। নবদ্বীপ আঞ্চলিক রেফারী বোর্ডের সম্পাদক জয়ন্ত গোস্বামী বলেন,“একসঙ্গে দুটো লিগের খেলা পড়লে বাঁশি দেওয়ার জন্য ৬ জনের প্রযোজন। অতজনকে একসঙ্গে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”
তবে সমস্যা যতই থাকুক না কেন ঘরের ছেলেদের মধ্যে সুনীল ছেত্রী, রহিম নবি, সুব্রত পাল বা মেহতাব হোসেনদের খুঁজতে গরমে ঘামতে ঘামতেও মাঠে হাজির হচ্ছেন বেশ কিছু ফুটবল পাগল মানুষ। |