টুকরো খবর
নভেম্বরে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু
তমলুক শহরের হাসপাতাল মোড় ও মানিকতলায় হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে ১৬ নভেম্বরের পরেশুক্রবার জেলাশাসকের অফিসে আয়োজিত সর্বদল বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হল। বৈঠকে ছিলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু আধিকারী ও তমলুকের বিধায়ক তথা রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। এাছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা ছিলেন। শহরের ওই দুই জায়গায় রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য পূর্ত দফতরের জায়গা দখল করে থাকা বেআইনি নির্মাণগুলি আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। এই অপসারণের ফলে প্রায় আড়াইশো ব্যবসায়ী উচ্ছেদের আশঙ্কায় রয়েছেন। পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পূর্ত দফতরের জায়গা দখল করে থাকা নির্মাণ সরিয়ে নিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে পূর্ত দফতর ও পুরসভা কাজের পরিকল্পনা তৈরি করবে, রাস্তা সম্প্রসারণ, বাস স্ট্যান্ড, রিকশা স্ট্যান্ড প্রভৃতির জায়গা চিহ্নিত করবে। বাকি জায়গায় ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য পুরসভা মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করবে। এই কাজ দেখভালের জন্য তমলুকের মহকুমাশাসকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গড়া হয়েছে।

ক্রেতা সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা
ক্রেতাদের অধিকার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে একটি আলোচনাসভা হল তমলুকে। রাজ্য সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক ও ন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলন দফতরের উদ্যোগে শুক্রবার পূবর্র্ মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাকক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। এতে যোগ দেন জেলার বিভিন্ন হাইস্কুলের কনজিউমারস ক্লাবের সদস্য ছাত্র-ছাত্রীরা। সভায় ক্রেতা ও গ্রাহকদের বিভিন্ন অধিকার নিয়ে আলোচনা করেন জেলা উপভোক্তা বিষয়ক দফতরের সহকারি অধিকর্তা দীপক কুমার সামন্ত-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। আলোচনা সভায় ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা, সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অজয় পাল। আলোচনা সভায় সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন , “জেলার বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীদের পণ্য কেনাবেচায় পরিমাপ ও গুণমান নজরদারির ক্ষেত্রে উপভোক্তা বিষয়ক দফতরের ভূমিকা তেমন সক্রিয় নয়। এ বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতন করতে আরও উদ্যোগী হতে হবে। জেলার প্রতিটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কনজিউমারস্ ক্লাব গড়ে গ্রাহক সচেতনতা বাড়ানোয় নজর দিতে হবে।”

শ্লীলতাহানি, গ্রেফতার ছাত্র
দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হল স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। ধৃত শুভময় গোস্বামীর বাড়ি সুতাহাটা থানার গুয়াবেড়িয়াতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দোরোকৃষ্ণনগর বাণী মন্দিরের দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার সুতাহাটা থেকে সাইকেলে টিউশন সেরে কাশীপুরে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তাঁর পিছু নেয় ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির দু’জন ছাত্র। গুয়াবেড়িয়া গ্রামে ওই ছাত্রীর পথ আটকায় তারা। অভিযোগ, শুভময় ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। ছাত্রী বাধা দিতে গেলে ধস্তাধস্তি হয়। পরিস্থিতি বুঝে পালিয়ে যায় শুভময়ের সঙ্গী। কিছুক্ষণ পরে পালিয়ে যায় শুভময়ও। বাড়ি ফিরে ওই ছাত্রী পরিবারের লোকেদের বিষয়টি জানান। এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। রাতেই অভিযুক্ত শুভময়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার হলদিয়া এসিজেএম আদালতে ধৃতকে তোলা হলে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।

ছোট আঙারিয়া মামলা পিছোল
ফের পিছিয়ে গেল ছোট আঙারিয়া মামলা। মেদিনীপুরের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে মামলাটি চলছে। শুক্রবার মামলার পূর্ব নির্ধারিত দিন ছিল। সিবিআইয়ের আইনজীবী তাপস বসু ও অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী বিশ্বনাথ ঘোষ দু’জনই হাজির ছিলেন। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী জানান, হাইকোর্টে যে আবেদন জানানো হয়েছে, তার শুনানির দিন এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। বিষয়টি হাইকোর্টের বিচারাধীন। তাই এখানে মামলা এগোনো অনুচিত। পরে সিবিআইয়ের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। গত ১৪ মে অন্যতম অভিযুক্ত সিপিএম কর্মী দিল মহম্মদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়েছিল। এই চার্জগঠনকে ‘চ্যালেঞ্জ’ করে হাইকোর্টে গিয়েছে অভিযুক্তপক্ষ। তাদের বক্তব্য, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও অস্ত্র আইনের ২৫ ও ২৭ ধারায় এ ক্ষেত্রে কোনও ভাবে থাকতে পারে না। কারণ, ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার হয়নি। ২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি গড়বেতার ছোট আঙারিয়া গ্রামে বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকজনকে খুনের পর লাশ গায়েব করার অভিযোগ ওঠে সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে। রাজ্যে পালাবদলের পর, ২০১১ সালের ১৫ মে পুরনো একটি অস্ত্র আইনের মামলায় পুলিশ দিল মহম্মদকে গ্রেফতার করে। তিনি ছোট আঙারিয়া মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। এর পরই ‘কফিনে’ ঢুকে পড়া ছোট আঙারিয়া মামলা নতুন করে প্রাণ পায়।

সচেতনতা বাড়াতে সভা
শ্রম দফতরের উদ্যোগে অসংগঠিত নির্মাণ ও পরিবহন শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা ভবিষ্যনিধি প্রকল্পে সচেতনতা বাড়াতে একটি সভা হল কাঁথিতে। কাঁথি টাউনহলের এই সভায় ছিলেন জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, জেলার উপ-শ্রম অধীক্ষক কল্লোল বন্দ্যোপাধায়, কাঁথি ১, দেশপ্রাণ ও এগরা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তনুশ্রী গিরি, তরুণ জানা, প্রকাশ রায়চৌধুরী এবং মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক সন্তু বিশ্বাস। এ দিন ৩৮৯ জন অসংগঠিত নিমার্ণ শ্রমিক ও ৩২ জন পরিবহন শ্রমিকের হাতে সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ক স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া সাইকেল বিলি, শ্রমিক পরিবারের মহিলাদের মাতৃত্ব ভাতা ও ৪ জন মৃত শ্রমিকের পরিবারকে মৃত্যুকালীন বীমার টাকা হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কাঁথির সহকারী শ্রম অধীক্ষক সুজয় মাঝি।

দু’দিন পরে রোদের দেখা
দু’ দিন পরে রোদের মুখ দেখল জেলাবাসী। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। বিভিন্ন এলাকায় জমা জল নামতে শুরু করেছে। গত দু’দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রায় সব এলাকাতেই বৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি এলাকায় জল জমে ভোগান্তি বাড়ে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে ৮৩টি গ্রামে বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোথায় ঘর ভেঙেছে। কোথাও চাষজমিতে জল জমেছে। টানা বৃষ্টিতে জেলার ২৯ টি ব্লকের মধ্যে ৮টি ব্লকে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। ব্লকগুলি হল মেদিনীপুর (সদর), কেশপুর, গড়বেতা ১, ২ ও ৩, দাসপুর ১, চন্দ্রকোনা ১ ও ২। ৮টি পুরসভার মধ্যে ক্ষীরপাই পুরসভার কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বিক্ষোভ
ঘাটালের বন্যা নিয়ন্ত্রণে মাস্টার প্ল্যান দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে সরব হল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে শুক্রবার মেদিনীপুরের সেচ দফতরের অধীক্ষক বাস্তুকারের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। পরে জেলাশাসকের দফতরের সামনেও বিক্ষোভ সভা হয়। কমিটির বক্তব্য, এই প্ল্যান কার্যকর না- হওয়ার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই ঘাটাল সহ ১২ টি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ সমস্যায় পড়েন। ফসলের ক্ষতি হয়।

পড়ুয়াদের বিক্ষোভ
—নিজস্ব চিত্র।
মেধা তালিকার ভিত্তিতে ভর্তি, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা আগে যে অধিকার পেতেন তা ফিরিয়ে দেওয়া-সহ বেশ কিছু দাবিতে শুক্রবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখালেন অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের এই সব ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, স্নাতকোত্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। মেধা তালিকা অনুযায়ী ভর্তির পরিবর্তে নতুন নীতি চালু করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, ভুল বোঝাবুঝির জন্য একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। পরে তার সমাধান হয়ে গিয়েছে।

ইন্দিরা আবাস প্রকল্পে টাকা বিলি
ইন্দিরা আবাস যোজনার উপভোক্তাদের হাতে প্রথম পর্যায়ের টাকা তুলে দেওয়া হল কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রশাসনিক ভবনে। বৃহস্পতিবার রাইপুর পশ্চিমবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫৪ জন ও মহিষাগোট গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১২ জন প্রাপকের হাতে ২২,৫০০ টাকার চেক তুলে দেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক মাসুদ আলম ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপত তনুশ্রী গিরি। তনুশ্রীদেবী জানান, পঞ্চায়েত সমিতির ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৮০ জন প্রাপকের মধ্যে ২৬৬ জনকে প্রথম ধাপের টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.