|
|
|
|
খড়্গপুরে অভিযুক্ত তৃণমূল |
ফোনে প্রধান শিক্ষককে খুন করার হুমকি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্কুল নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে প্রধান শিক্ষককে ফোনে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর লোকাল থানার বসন্তপুরে। স্থানীয় তেলিপুকুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চণ্ডীচরণ ত্রিপাঠি পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।” আর তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্য অজিত মাইতি বলেন, “অনভিপ্রেত ঘটনা। ঠিক কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখছি। ঘটনায় দলের কেউ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।”
চণ্ডীচরণবাবু মেদিনীপুরে থাকেন। বুধবার রাত ১০টা নাগাদ এক জন তাঁকে ফোন করে খুনের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। চণ্ডীচরণবাবু ‘বিক্ষুব্ধ তৃণমূলী’দের সঙ্গে রয়েছেন বলেই তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তেলিপুকুর হাইস্কুলে পরিচালন সমিতির ভোট নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ‘বিরোধ’ চলছে। মুখোমুখি রয়েছেন পরিচালন কমিটির সভাপতি অশোক দাসের অনুগামী এবং কমিটির সম্পাদক পথিক অট্ট’র অনুগামীরা। বুধবার রাতে অশোকবাবুকেও ফোন করে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের অনুমান, পথিক-গোষ্ঠীর লোকজনই এই কাজ করেছে। তৃণমূল অবশ্য ‘বিরোধে’র কথা মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, বিরোধ নয়, সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে।
আগে এই স্কুলের পরিচালন সমিতি সিপিএমের দখলে ছিল। ২০০৯ সালে জেতে তৃণমূল। আগামী বছর ২১ জানুয়ারি কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। তার আগেই নির্বাচন করার কথা। এই নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়েই তৃণমূলের দু’পক্ষের ‘বিরোধ’ রয়েছে। একপক্ষ চাইছে, পুজোর পরে নির্বাচন হোক। অন্যপক্ষ চাইছে, পুজোর আগেই নির্বাচন হয়ে যাক। গত বুধবার স্কুলে এক সভা হয়। তাতে ঠিক হয়েছিল, আগামী ১৪ অক্টোবর ভোট হবে। এরপরই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ‘চাপ’ আসতে শুরু করে বলে অভিযোগ। অশোকবাবু বলেন, “হুমকি ফোন এসেছিল। যা জানানোর দলের নেতৃত্বকে জানিয়েছি।”
আর পথিকবাবুর বক্তব্য, “আমাকে তো প্রধান শিক্ষক কিছু জানাননি। আমরা বলেছি, পুজোর পরে নির্বাচন করতে। উনি পুজোর আগে নির্বাচন করতে চাইছেন।” |
|
|
|
|
|