|
|
|
|
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ড |
সুশান্ত ঘোষের ভাই প্রশান্ত ধৃত পুরীতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর ও কলকাতা |
পুরী থেকে গ্রেফতার হলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের ভাই প্রশান্ত ঘোষ। সুশান্তবাবুর মতো দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডেই অভিযুক্ত প্রশান্তবাবু। শুক্রবার সকালে পুরীর একটি হোটেল থেকে তাঁকে ধরে ওড়িশা পুলিশ। ধৃতকে আনতে সিআইডি-র একটি দল ওড়িশা রওনা দিয়েছে।
সিআইডি-র ডিআইজি (অপারেশনস) কে জয়রামন এ দিন জানান, আজ, শনিবার প্রশান্ত ঘোষকে ওড়িশার আদালতে হাজির করানো হবে। তার পরে ‘ট্রানজিট রিমান্ডে’ তাঁকে রাজ্যে নিয়ে আসা হবে। সিআইডি জানায়, দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডের পাশাপাশি, প্রশান্তের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা রয়েছে। প্রশান্তবাবু হোটেল-সহ নানা ব্যবসায় যুক্ত। সিপিএম কর্মী হিসেবে পরিচিত হলেও কোনও পদে ছিলেন না।
|
প্রশান্ত ঘোষ। —ফাইল চিত্র |
পালাবদলের পরেই ২০১১-র জুনে গড়বেতা থানার দাসেরবাঁধ থেকে মাটি খুঁড়ে বেশ কিছু হাড়গোড় মেলে। অভিযোগ, ২০০২-এর ২২ সেপ্টেম্বর পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে খুন করে তাঁদের দেহ সেখানে পোঁতা হয়েছিল।
সুশান্তবাবু গড়বেতার বিধায়ক। তাঁদের আদি বাড়ি বেনাচাপড়ায়। তার পাশেই দাসেরবাঁধ এলাকা। হাড়গোড় উদ্ধারের পরে নতুন করে পুলিশে যে অভিযোগ জানানো হয়, তাতে নাম ছিল সুশান্ত ও প্রশান্তবাবুর। ২০১১-র অগস্টে গ্রেফতার হন সুশান্তবাবু। ওই বছরই ২৩ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর আদালতে মামলার চার্জশিট পেশ হয়। চার্জশিটে ৫৮ জনের নাম রয়েছে। প্রশান্তবাবুকে নিয়ে ধৃতের সংখ্যা ২২। অভিযুক্তদের মধ্যে সুশান্তবাবু-সহ ৭ জন এখন জামিনে মুক্ত। জেলে ১৪ জন। মামলার বিচার চলছে মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে। অবশ্য এখনও চার্জ গঠন হয়নি। আগামী ৫ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে। |
|
|
|
|
|