|
|
|
|
জেল খেটেও মমতাকে সমর্থন শিলাদিত্যদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
‘মুখ্যমন্ত্রীর ভুলে’ তাঁর ‘নির্দোষ’ ভাইকে জেল খাটতে হলেও তাঁদের পরিবার এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকেই সমর্থন করে বলে জানালেন বিনপুরের শিলাদিত্য চৌধুরীর দাদা তিলক চৌধুরী। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন শুক্রবার শিলাদিত্যবাবু এবং তাঁর দাদাকে ভবানী ভবনে ডেকে পাঠিয়েছিল। তাঁরা এ দিন সেখানে গিয়ে কমিশনের তদন্তকারী ইনস্পেক্টর বিরাজ কর্মকারের সঙ্গে দেখা করেন।
এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ শিলাদিত্য এবং তাঁর দাদা তিলকবাবু ভবানী ভবনে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দফতরে হাজির হন। দেড়টা নাগাদ প্রথমে শিলাদিত্যবাবু এবং পরে তিলকবাবুর সঙ্গে কথা বলেন বিরাজবাবু। বিকেলে কমিশন থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানান, বিরাজবাবু তাঁদের বক্তব্য শুনে সেই কথাগুলোই লিখে দিতে বলেন এবং তাঁরা সেটাই করেছেন। |
|
ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে আসছেন শিলাদিত্য চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র |
গত ৮ অগস্ট বেলপাহাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা চলাকালীন শিলাদিত্যবাবুকে চেঁচিয়ে কিছু বলতে শোনা গিয়েছিল। এতে ‘ক্ষুব্ধ’ হন মুখ্যমন্ত্রী। বক্তৃতার মধ্যেই ‘মাওবাদীরা সভায় লোক ঢুকিয়ে দিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন মমতা। শিলাদিত্যবাবুকে ধরার নির্দেশ দেন তিনি। সারের অভাবে চাষের সমস্যার কথাই চিৎকার করে মুখ্যমন্ত্রীকে বলছিলেন বলে শিলাদিত্যবাবু পুলিশকে জানান। পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু ১০ অগস্ট তাঁকে বিনপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। আদালত তাঁকে জেল-হাজতে পাঠায়। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। পুলিশ তাঁর সঙ্গে প্রথম দিন এবং গ্রেফতারের পরে কেমন ব্যবহার করেছে, তদন্তকারী অফিসার সেই ব্যাপারে প্রশ্ন করেন বলে জানান শিলাদিত্যবাবু। তাঁরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কি না, এই প্রশ্নের জবাবে তিলকবাবু বলেন, “আমাদের পরিবার তৃণমূলের সমর্থক।” তার পরেই তিনি বলেন, “মানুষ মাত্রেই ভুল হয়। মুখ্যমন্ত্রীরও ভুল হয়েছে। তাই তাঁকে ও তৃণমূলকে আগের মতোই সমর্থন করব।” রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এ দিন জাতীয় স্তরের অ্যাথলিট পিঙ্কি প্রামাণিককেও ডেকে পাঠিয়েছিল। সম্প্রতি ধর্ষণ, প্রতারণা-সহ বিভিন্ন অভিযোগে পিঙ্কিকে গ্রেফতার করা হয়। থানায় ও জেলে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। তার পরেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। পিঙ্কি এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ ভবানী ভবনে পৌঁছন। কমিশনের তদন্তকারী ইনস্পেক্টর বিশ্বজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বিকেল ৪টে নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে পিঙ্কে বলেন, “থানায় ও জেলে পুলিশ কেমন ব্যবহার করেছে, কমিশনের তরফে আমার কাছে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। যা সত্যি, তা-ই বলেছি।” |
|
|
|
|
|