ব্রায়ান ভাইদের কাছে লিয়েন্ডার-স্টেপানেকের যুক্তরাষ্ট্র ওপেন ফাইনাল ৩-৬, ৬-৪ হারের মধ্যে আমি তেমন অগৌরবের কিছু দেখছি না। দু’টো সেটে লিয়েন্ডারের পার্টনারের দু’টো সার্ভিস ব্রেক হওয়া ছাড়া দুটো জুটিকে প্রায় সমান-সমানই দেখিয়েছে। দু’টো টিমের মধ্যে ম্যাচে পার্থক্য করে দিল সার্ভিসের ধারাবাহিকতা। প্রথম সার্ভে ব্রায়ানরা ৮৪-৬২ শতাংশে এগিয়ে। দ্বিতীয় সার্ভিস থেকে পয়েন্ট জেতার ক্ষেত্রে এগিয়ে ৮৩-৫০ শতাংশে। আনফোর্সড এরর অনেক কম (৫-১৭)। গোটা ম্যাচে লিয়েন্ডারদের তাই একটাও ব্রেক পয়েন্ট না পেতে দেখে অবাক হইনি। বব-মাইকের বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশনও একটা ফ্যাক্টর।
আসলে ঘরের মাঠে জমজ মার্কিন ভাইরা পরিষ্কার ফেভারিট হিসেবে নেমেছিল। ওদের আরও তাতিয়ে দিয়েছিল সর্বাধিক ১২টা গ্র্যান্ড স্ল্যাম ডাবলস জিতে উডিজদের ওপেন যুগের রেকর্ড ভাঙার হাতছানি। সেটা করে ওরা ওপেন যুগের আগে-পরে মিলিয়ে রোচ-নিউকোম্বের জুটির রেকর্ড ছুঁল। এ যুগে ব্রায়ানদের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। কিন্তু সর্বকালের সেরা ওদের বলতে পারছি না। রোচদের সময় বিশ্বের সেরা সিঙ্গলস প্লেয়াররা ডাবলসও খেলত। সে জন্যই আমার মতে ব্রায়ানদের ফ্লাশিং মেডোয় শুক্রবারের ট্রফি পাওয়ার চেয়ে গত মাসে অলিম্পিকে সোনা জেতার কৃতিত্ব বেশি। কারণ অলিম্পিকে শীর্ষস্থানীয় সব সিঙ্গলস প্লেয়াররা ডাবলসেও খেলেছিল।
গভীর রাতে টিভিতে ম্যাচটা দেখার আগে ইন্টারনেট ঘাঁটতে গিয়ে দেখলাম, ব্রায়ানরা বলেছে, ফাইনালে লিয়েন্ডারদের ‘অফ ব্যালেন্স’ করে দিতে অন্য সার্ভিস, অন্য স্পিন, অন্য ছক। পাল্টা লিয়েন্ডার বলেছিল, ওদের শক্তির সঙ্গে পাল্লা দিতে যা-যা করা দরকার সেটাই করবে। ম্যাচে দুই জুটির খেলাতেই কিন্ত কোনও নতুন পরিকল্পনার ছাপ পেলাম না। তবে এর পরেও লিয়েন্ডারকে টুপি খুলে সেলাম না জানালে অন্যায় হবে। ৩৯ বছর তিন মাসেও গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলছে! এ বছরও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছে। ১৩টা গ্র্যান্ড স্ল্যাম। ৫০টা এটিপি। ডাবলস-মিক্সড ডাবলস মিলিয়ে ১১০ জন পার্টনারের সঙ্গে খেলা। ডেভিস কাপে সবচেয়ে বেশি জয় লিয়েন্ডার এ দেশের সর্বকালের সেরা ডাবলস প্লেয়ার। যা চমৎকার রিফ্লেক্স, আরও চার বছর খেলে দিতে পারে। রিওতে সপ্তম অলিম্পিক খেললেও অবাক হব না।
এসবের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে সিঙ্গলসে জকোভিচ আমার মতে ফেভারিট। শনিবার সেমিফাইনালে ফেরারের বিরুদ্ধে হটফেভারিট। বরং বার্ডিচকে মারে হারাবেই বলতে পারছি না। ফেডেরারকে হারিয়ে বার্ডিচ এখন টগবগ করছে। |