পুলিশের জালে ধরা পড়ল ডিমাসা ন্যাশনাল রেভিলিউশনারি ফ্রন্ট (ডিএনআরএফ)-এর স্বঘোষিত সেনাধ্যক্ষ ডায়মন্ড ডিমাসা ওরফে প্রাঞ্জল হোজাই। গোয়েন্দাদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ সেনাবাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে দিয়ংমুখ থানার বাটোহাজা গ্রামে অভিযান চালায়। ধরা পড়ে ডায়মন্ড। তবে তার কাছ থেকে কোনও অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জঙ্গিনেতাকে হাফলং থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে জেরায় সে স্বীকার করেছে, এনএসসিএন (আইএম) তাদের নানা ভাবে সাহায্য করেছে।
ডি এইচ ডি-র দিলীপ নুনিসা ও জুয়েল গারলোসা, উভয় গোষ্ঠী সংঘর্ষবিরতি মেনে চলায় পার্বত্য জেলা জুড়ে যখন শান্তির আবহ তৈরি হচ্ছে তখনই জন্ম নেয় ডিএনআরএফ। শুরুর দিকে অপহরণের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবী থেকে সাধারণ মানুষঅনেকের কাছেই দাবিপত্র পাঠিয়ে অর্থ আদায় করত এরা। সময় মতো দাবি না-মেটানোয় হাফলঙের ব্যবসায়ী, স্বপনকান্তি ধরচৌধুরীকে তারা হত্যাও করে। এর ফলে ডিএনআরএফ-এর নামে ভীতি বাড়তে থাকে। ঠিক সেই সময় তাদের সেনাধ্যক্ষের গ্রেফতার এক বড়সড় সাফল্য বলেই পুলিশ মনে করছে। তাদের কথায়, বেপরোয়া হয়ে ওঠার মুখে জঙ্গি দলটির বিষদাঁত ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়েছে।
এ দিকে গ্রেফতারের পর ডায়মন্ড জানায়, এখন মাত্র পাঁচ জন সশস্ত্র ক্যাডার জঙ্গলে আত্মগোপন করে রয়েছে। বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে। জেলে রয়েছে বেশ কয়েকজন। অস্ত্রশস্ত্রও যা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তার প্রায় সবটাই পুলিশ বিভিন্ন সময়ে বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে ডিএনআরএফ-এর নাম নিয়ে একটি নকল জঙ্গিদলও অর্থ আদায় করছে বলে ডায়মন্ড আজ জানিয়েছে। তার কথায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও আসল জঙ্গিরা ভাবছে। |