জমির পাট্টা যাচাইপর্বের প্রথম পর্যায় শেষ হতেই, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ ত্রাণ শিবির থেকে নিজের গ্রামে ফিরে গেলেন। প্রশাসন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, গ্রামের বাইরে সংরক্ষিত অরণ্য এলাকায় কোনও পুনর্বাসন দেওয়া যাবে না। গ্রামে ফেরা মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
শিবিরবাসী পরিবারগুলির জমির অধিকার যাচাই করতে কোকরাঝাড় ও চিরাং জেলায় প্রায় ২৫ হাজার ফর্ম বিলি করা হয়েছিল। গত কাল অবধি, মন্ত্রিসভার বিশেষ গোষ্ঠী ও বড়োল্যান্ড স্বশাসিত পরিষদ, কোকরাঝাড় এবং চিরাং জেলার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বসে মোট ২৬ হাজার ৪৩১টি ফর্ম যাচাই করে। এর মধ্যে দু’টি জেলা মিলিয়ে ১১,০৬৬টি পরিবারের জমির পাট্টাকে বৈধতার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কোকরাঝাড়ে ১৮,১৬৯টি পরিবারের মধ্যে ৮,৬৩৯টি পরিবার জমির দাবির পক্ষে পর্যাপ্ত নথি জমা দিতে পারেনি। ১,০৭৭টি পরিবার ভূমিহীন। পাট্টাহীনরা আপাতত গ্রামে ফিরতে পারবেন না। তাঁদের জন্য বিকল্প প্রমাণপত্রের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। মন্ত্রিগোষ্ঠীর প্রধান, রাজস্বমন্ত্রী পৃথ্বী মাঝি জানিয়েছেন, পাট্টা থাকা পরিবারদের এক মাসের মধ্যে পুরোপুরি গ্রামে ফেরানো হবে। পরের পর্যায়ে আরও ১৩ হাজার পাট্টা থাকা পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে। তবে ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মাঝি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সংরক্ষিত অরণ্যের জমিতে কাউকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে না।
বৈধতা পাওয়া ১১ হাজার পরিবারের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১,১০১ জন গ্রামে ফিরে গিয়েছেন। এক দিনের মধ্যে এতজনের পুনর্বাসন এই প্রথম। আজকের হিসেব অনুযায়ী, মোট ২১৮টি ত্রাণ শিবিরে ১,৯৮,৬২৪ জন এখনও রয়ে গিয়েছেন। বিটিসি প্রধান হাগ্রামা মহিলারি জানান, গ্রামে ফেরা মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ। |