ক’দিন আগেই ঝাড়খণ্ড মন্ত্রিসভা অনাবৃষ্টির কারণে সারা রাজ্যকেই খরা-কবলিত বলে ঘোষণা করেছিল। সেই ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়েছে নাগাড়ে বৃষ্টি। এখন বন্যার আশঙ্কায় দিন গুণছেন মন্ত্রিসভা।
রাজধানী রাঁচি-সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় ৪ সেপ্টেম্বর রাত থেকে চলছে অবিরাম বৃষ্টি। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে কখনও জোরে কখনও বা ঝিমঝিমিয়ে বর্ষণ চলছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উজানি (আপার ক্যাচমেন্ট) এলাকায় ভারী বৃষ্টি হওয়ায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি নদীর জলও বেড়েছে। রাজরাপ্পার কাছে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে দামোদর নদের জল। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে দামোদরের তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
পটনার আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা আশিস সেন জানিয়েছেন, নদীর উজানি এলাকায় ভারী বৃষ্টি হওয়ায় নদীগুলির জল বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দামোদরের উজানেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ধানবাদ শহরে বৃষ্টি হয়েছে ১২৬ মিমি। ধানবাদের গোবিন্দপুরে ৮৫ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বোকারোর তেনুঘাটে ৪০.৬ মিমি, গোমিয়ায় ৪১.২ মিমি এবং কোনর এলাকায় ৩২.২ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। রাজ্য সেচ দফতর সূত্রের খবর, নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় তেনুঘাট ড্যাম-এর তিনটি লক গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। রামগড়ে দামোদর ফুঁসে ওঠার এটাও একটা বড় কারণ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাঁচির বিমানবন্দর এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৮২ মিলিমিটার। হিন্দপীড়িতে ৬৪ মিলিমিটার। রাঁচির আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জ্ঞানেন্দ্রকুমার মোহান্তি জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা এখনও রয়েছে। তাই রাঁচির নিচু এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। |