পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর ও সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বোলপুর-শ্রীনিকেতন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের আনন্দ কোঁড়া সরকারি কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও জনপ্রতিনিধিকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ দিকে ঝামেলার খবর পেয়ে বোলপুর থানা থেকে পুলিশ এবং বোলপুরের মহকুমাশাসকের নির্দেশে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে আসেন। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, জনপ্রতিনিধিকে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের সব পঞ্চায়েতের প্রধান, পুরসভার প্রতিনিধিকে নিয়ে শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ পঞ্চায়েত সমিতিতে বৈঠকে বসেছিলেন যুগ্ম বিডিও জহরকুমার অধিকারী। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা দফতরে ঢোকেন। গণ্ডগোলের আঁচ করে বিডিও তড়িঘড়ি বৈঠক শেষ করেন। জহরবাবু বলেন, “বৈঠক শেষ করে অভিযোগকারী বাসিন্দাদের আলোচনার জন্য ডাকি। |
তখন তাঁরা একটি সেতু মেরামতি ও উন্নয়নের নানা প্রসঙ্গ তোলেন। এর মাঝে আচমকা তাঁরা নীচের তলায় সভাপতির ঘরে চলে যান। গোটা ঘটনার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানিয়েছি।” সভাপতি আনন্দ কোঁড়ার অভিযোগ, “দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সর্পলেহনা-আলবাঁধা এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী মহাদেব রায়ের নেতৃত্বে জনা ২০ লোক সমস্যার কথা বলার আগেই চেয়ারটেবিল ভাঙচুর করেন। আমাকে মারধর করেন। অভিযোগ করেছি।”
ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগে সর্পলেহনা-আলবাঁধা পঞ্চায়েতের নোয়াডাঙাল গ্রামের একটি সেতু জলের তোড়ে বসে যায়। এর ফলে দুর্ভোগ পোহাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই অভিযোগ-সহ কিছু উন্নয়নের কাজ হয়নিএই সব অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তবে মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। |