স্কুলের আর্থিক হিসেবে গরমিল রয়েছে অভিযোগ তুলে মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়েছিলেন কাটোয়ার রাজুয়া-চূড়পুনি অমলা বিদ্যাপীঠের কংগ্রেস সমর্থিত পরিচালন সমিতির সম্পাদক সামসুল আলম। চিঠির প্রতিলিপি দেওয়া পাঠানো হয়েছিল বর্ধমানের জেলা পরিদর্শককেও (মাধ্যমিক)।
কংগ্রেসের অভিযোগ, সেই খবর জানাজানি হতেই শুক্রবার রাতে সিপিএম নিয়ন্ত্রিত পুরনো পরিচালন সমিতির সম্পাদক, করণিক ও প্রধান শিক্ষক স্কুলের পাশে এক জায়গায় বসে হিসেবের ত্রুটি মেলাচ্ছিলেন। সেই সময়ে কাগজপত্র-সহ তাঁদের আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে পরিচালন সমিতির সম্পাদক ও করণিককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ যেতেই প্রধান শিক্ষক পালিয়ে যান বলে অভিযোগ।
স্কুল সূত্রের খবর, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে পরিচালন সমিতি ছিল সিপিএমের নিয়ন্ত্রণে। মাস দুয়েক আগে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে জিতে নিয়ন্ত্রণ নেয় কংগ্রেস। নতুন পরিচালন সমিতির অভিযোগ, স্কুলের জমিতে ৩০০ বর্গফুটের একটি ঘর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩৬০০ টাকা, তার পর থেকে প্রতি মাসে ৪০৭০ টাকা করে ভাড়া পাচ্ছে স্কুল। অথচ স্কুলে ওই টাকার কোনও হিসাব নেই।
কংগ্রেস পরিচালিত পরিচালন সমিতির অভিযোগ, আগের পরিচালন সমিতি ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে দু’দফায় ৪ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছে। সেই টাকারও কোনও হিসাব নেই। নতুন পরিচালন সমিতির সম্পাদক সামসুল আলমের অভিযোগ, “এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।” প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ বালা অবশ্য দাবি করেন, তিনি ১৯৯৬ সালে এই স্কুলে যোগ দিয়েছেন। তার আগে থেকে ব্যাঙ্কের ভাড়া নেওয়ার যে পদ্ধতি চালু ছিল, পরবর্তী কালে পরিচালন সমিতি সেই পদ্ধতিই বজায় রেখেছিল। সেই ‘পদ্ধতি’ কী, তা অবশ্য তিনি জানাতে চাননি। পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সম্পাদক, সিপিএমের দিলীপ ঘোষের দাবি, “আর্থিক গরমিল তো হওয়ার কথা নয়! সমস্ত নথিই রয়েছে।” কাটোয়ার মহকুমাশাসক আর অর্জুন অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। |