একটি বাড়িতেই বসে দু’টি স্কুল। সকালে বসে ইউনিট ২। দুপুর থেকে শুরু হয় ইউনিট ১ এর পঠনপাঠন। শুক্রবার ইউনিট ১-য়ের ‘মিড-ডে মিল’ রান্নার উনুন ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ইউনিট ২-য়ের প্রধান শিক্ষক ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুর প্রজেক্টস বয়েজ হাইস্কুলে শুক্রবারের ঘটনা। মহকুমাশাসকের কাছে ইউনিট ১-য়ের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক আয়েষারানী এ। |
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা রয়েছে ইউনিট ১-য়ে। অন্য দিকে, ইউনিট ২-য়ে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পঠন-পাঠন চলে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইউনিট ২ চলার পর দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে ইউনিট ১। দু’টি স্কুলেই চালু রয়েছে ‘মিড-ডে মিল’ প্রকল্প। রান্নার ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ পৃথক। শুক্রবার দুপুরে স্কুল খুলে ইউনিট ১ এর শিক্ষকেরা দেখেন, তাঁদের ইউনিটের ‘মিড-ডে মিল’ রান্নার উনুন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সন্দেহের তির গিয়ে পড়ে ইউনিট ২ এর উপর। মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে ইউনিট ১ এর শিক্ষকেরা লিখিত অভিযোগে জানান, ইউনিট ২-য়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর তাঁদের সঙ্গে অসহযোগিতা করে থাকেন। তাঁরা দাবি করেন, তাঁদের ইউনিটের ‘মিড ডে মিলে’র কাজ যাতে ‘ব্যাহত’ করতেই তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। ইউনিট ২-য়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দমোহন সামন্ত অবশ্য বলেন, “খবর শুনে আমি স্তম্ভিত!” তাঁর দাবি, এমন অভিযোগ তোলার আগে ইউনিট ১-য়ের শিক্ষকদের আরও ভাবনাচিন্তা করা উচিত ছিল। ইউনিট-১-য়ের প্রধান শিক্ষক পরেশনাথ কোনার জানান, আপাতত অস্থায়ী ভাবে দুটি কাঁচা উনুন গড়ে‘মিড-ডে মিল’ চালু হয়েছিল। বেলার দিকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ দিন উনুন ভাঙার খবরে বিমর্ষ হয়ে পড়ে পড়ুয়াদের অনেকে। |