বছর দুয়েকের বেশি সময় আগে ‘ওয়ান-ওয়ে’ করা হয়েছে আসানসোল কোর্ট বাসস্ট্যান্ডের রাস্তাটিকে। আসানসোল-বার্নপুরগ্রামী বাস এই পথে গেলেও বার্নপুর-আসানসোলগামী বাস ওই রাস্তা ধরে না গিয়ে কোর্ট মোড় হয়ে ভগৎ সিং মোড় ঘুরে আসায় বিপাকে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা- এই অভিযোগে শুক্রবার সংলগ্ন শ্রীপল্লী, হিলভিউ সাউথ, ধর্মপল্লী ও নিউ আপার চেলিডাঙা (শিবমন্দির) এলাকার বাসিন্দারা আসানসোল মহকুমাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখানোর পর মহকুমাশাসকের হাতে দাবিপত্র তুলে দেন। তার প্রতিলিপি পাঠানো হয় আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ ও আইন ও বিচারমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে প্রদ্যুৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, বার্নপুর থেকে আসানসোল ফেরার বাস এই স্টপেজ দিয়ে যাচ্ছে না ঠিকই, তাতেও রাস্তাটিকে ‘ওয়ান-ওয়ে’ বলা যাবে না। কোর্ট স্টপেজ থেকে যাত্রী নিয়ে অটো, রিক্সা আসানসোল যাচ্ছে। অথচ বাস যাচ্ছে না। অন্য দিকে, যাত্রীভর্তি না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি ছাড়ছেন না অটোচালকেরা। এর জেরে সমস্যায় পড়ছেন ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। মহকুমাশাসক প্রতুল ভুঁইয়া জানান, প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করে বিষয়টি মেটানো হবে। আলোচনায় বাসিন্দাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
|
বাড়ির অ্যাসবেস্টসের চাল সরিয়ে পুলিশের সাহায্যে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করলেন প্রতিবেশিরা। ওই চালের তলা থেকে ওই ব্যক্তির স্ত্রীকেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করেন প্রতিবেশিরা। জামুড়িয়ার চুরুলিয়ার রুইদাস পাড়ায় শুক্রবার ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অজিত রুইদাস (৪২)। তাঁর স্ত্রী পুতুলদেবীকে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ওই দম্পতির সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা দরজা খোলার চেষ্টা করেন। দরজা খুলতে না পেরে বাড়ির চাল সরিয়ে তাঁরা দেখেন ওই দম্পতি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এরপর দু’জনকে উদ্ধার করে মহকুমা হাসাপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে অজিতবাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অজিতবাবুর স্ত্রী পুতুলদেবীর জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি অনেকটাই পরিষ্কার হবে। পুতুলদেবীর মামিমা কল্যাণী রুইদাস জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই কোনও সন্তান না হওয়ায় ওই দম্পত্তির মধ্যে অশান্তি চলছিল।”
|
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক শিক্ষিকার হাতব্যাগ ছিনতাই করে পালাল তিন দুষ্কৃতী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার রেল কলোনি এলাকার ভিআইপি রোডে। আসানসোল দক্ষিণ থানায় তিনি লিখিত অভিযোগে দাবি করেন, ওই ব্যাগের মধ্যে কয়েক হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিল। পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে আসানসোল ইস্টার্ন রেলওয়ের বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রঞ্জনা মুন্সি তাঁর এক সহকর্মীর সঙ্গে রিক্সায় চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। আচমকা একটি মোটরবাইকে চেপে আসা তিন দুষ্কৃতী তাঁর হাতব্যাগটি হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। তিনি চিৎকার করলে এলাকার বাসিন্দারা ওই তিন দুষ্কৃতীকে ধাওয়া করেন। কিন্তু তাদের ধরা যায়নি। পুলিশ জানায়, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |