সগড়ভাঙায় রাস্তা ভাঙা, অসন্তোষ
দুর্গাপুর স্টেশন থেকে জাতীয় সড়কে যাওয়ার প্রধান রাস্তাটি মিশেছে ডিভিসি মোড়ে। তারই একটি শাখা পিসিবিএল মোড় থেকে সগড়ভাঙা হয়ে গিয়েছে মুচিপাড়ায়। সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল এই দ্বিতীয় রাস্তার প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ। তার উপরে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে রাস্তার ওই অংশ প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি বেসরকারি কারখানা রয়েছে। রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ায় নাকাল হচ্ছে তারাও। দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
বাসিন্দারা জানান, দুর্গাপুর স্টেশন থেকে বিধাননগর ভায়া মুচিপাড়া যাওয়ার বাসরুট এটিই। স্টেশন থেকে বোলপুরগামী বাসগুলিও এই রাস্তাটিই ব্যবহার করে। কারখানার ভারি ট্রাকগুলির চলাচলের রাস্তাও এটিই। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি আমুল সংস্কারের কোনও উদ্যোগ হয়নি। মাঝেমধ্যে শুধু তাপ্পি দেওয়া হয়। কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যেই তা উঠে গিয়ে ফের বেরিয়ে পড়ে খানাখন্দ। বর্ষার জল জমে সেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। বাসিন্দারা জানান, বর্ষার ঠিক আগে বেশ কিছুটা অংশ সংস্কার করা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু বৃষ্টিতে তাও বেহাল হয়ে গিয়েছে।
পথই যখন বিপথ। ছবিটি তুলেছেন বিশ্বনাথ মশান।
কড়ঙ্গপাড়ার ভিতর দিয়ে রাস্তাটি গিয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পায়ে হেঁটে হোক বা মোটরবাইক, রাস্তায় বেরোনো মানেই বিপদ। স্থানীয় বাসিন্দা গৌরকিশোর কেশ, স্বপ্না ঘোষদের অভিযোগ, বেহাল ওই রাস্তা দিয়েই তীব্র গতিতে ছুটে চলে মিনিবাস। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। বিধাননগরের বাসিন্দা বাপ্পা বন্দ্যোপাধ্যায়, সমর বসুদের কথায়, “কিলোমিটার খানেক রাস্তা প্রায় চোখ বুজে যেতে হয়। বয়স্ক বা মহিলা যাত্রীদের পক্ষে ওই রাস্তায় যাতায়াত করা রীতিমতো কষ্টকর।” মিনিবাস মালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় প্রতি দশ মিনিট অন্তর বাস চলে ওই রুটে। কাজেই সময় বাঁচাতে ভাঙা রাস্তার উপর দিয়েই যায় বাসগুলি। ফলে বাসের যন্ত্রাংশও নষ্ট হচ্ছে।
ওই রাস্তার ধারে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি কারখানা। কারখানার মালপত্র সরবরাহ হয় ওই রাস্তা দিয়েই। রাস্তা বেহাল হয়ে যাওয়ায় তাঁদেরও বিপাকে পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কারখানার আধিকারিকেরা। তাঁদের বক্তব্য, এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থার (এডিডিএ) কাছে রাস্তাটি সারানোর আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা যুব তৃণমূল জেলা (শিল্পাঞ্চল) কোর কমিটির সদস্য চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, ছাত্র, বাসযাত্রী প্রত্যেকেই রাস্তাটির জন্য নাকাল হচ্ছেন।” তাঁর দাবি, “রাস্তার পাশে সঠিক নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় জল জমে যায় রাস্তার নিচু অংশে। তার উপর দিয়েই যানবাহন চলাচল করে। ফলে পিচ উঠে যায়।” রাস্তাটি কোন দফতর দেখভাল করে তা খোঁজ নিয়ে দেখে রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.