ভারত-নেপাল সীমান্ত সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার দার্জিলিং জেলার পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী জেলা-কর্তারা। রাস্তা সংস্কার থেকে পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য, সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকে আলোচনা হয় বিভিন্ন সমস্যা নিয়েই। তবে তার সিংহভাগ জুড়ে ছিল সীমান্তে হাতি-সমস্যা। মেচি নদী পার হয়ে প্রতি বছরই উত্তরবঙ্গ থেকে হাতিরা নেপালে ঢোকে। গত তিন বছরে অনুপ্রবেশের মূল্য চোকাতে প্রাণ গিয়েছে সাতটি গুলিতে আহত আরও কয়েকটি। নেপালে গ্রামবাসীদের সম্বৎসরের ফসল ‘নষ্ট’ করে দেয় হাতির পাল। তাদের ঠেকাতে তাই দিশি বন্দুক থেকে টাঙি-বল্লম, যে কোনওরকম অস্ত্র প্রয়োগে পিছপা হয়না নেপালে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীরা। শেষ সংযোজন নেপাল-ফৌজ। |
ভারত ও নেপালের প্রশাসনিক আধিকারিকদের বৈঠক চলছে
শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে। ছবি তুলেছেন কার্তিক দাস। |
বছর দুই আগে নেপাল-সেনার গুলিতে প্রাণ যায় তিনটি হাতির। এমনই অভিযোগ রাজ্যের বন বিভাগের। হাতিরা যাতে মেচি পার হয়ে পড়শি রাজ্যে প্রবেশ না করে সে জন্য বৈদ্যুতিক তার থেকে হাতিদের পারাপারের সময়ে পটকা ফাটানো, চেষ্টার কসুর করেনি বন বিভাগ। তবে হস্তি বিশেষজ্ঞেরা স্পষ্টই জানান, হাতিরা তাদের চেনা ‘করিডর’ ছেড়ে চলাচল করে না। ফলে মেচি পার হয়ে তাদের চেনা পথ বদলের বিশেষ সম্ভাবনা নেই। বিভিন্ন সমস্যা রোধে দু-দেশের পুলিশ ও বন কর্তাদের নিয়ে জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স গড়ার কথা ভাবে হয়েছে বৈঠকে। তবে, তা দিল্লির অনুমোদন ছাড়া সম্ভব নয়। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন মনে করেন, “টাস্ক ফোর্স গঠন হলে উপকার হত। কিন্তু কেন্দ্রের সম্মতি না পেলে কী করে এগনো যাবে।” বৈঠকে নরেন্দ্ররাজ শর্মার নেতৃত্বে নেপালের ঝাপা, ইলম এবং পানচার জেলার আধিকারিক এসেছিলেন। তাঁরা জয়েন্ট টাস্ক ফোর্সে আগ্রহী। |