শুধু অগস্ট মাসেই সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন লক্ষাধিক নাগরিক। ২০১১ সালের মার্চ মাস থেকে অশান্ত সিরিয়া। ক্রমাগত যুদ্ধ চলছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে। তবে এক মাসে লক্ষাধিক মানুষ দেশ ছাড়লেন এই প্রথম। রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাটি (ইউএনএইচসিআর) জানাচ্ছে, সিরিয়ার অবস্থা কতটা উদ্বেগজনক তা এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট। প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে অধিকাংশ সিরিয়াবাসীই প্রতিবেশী দেশগুলিতে আশ্রয় চাইছেন।
ইউএনএইচসিআর-এর প্রধান মুখপাত্র মেলিসা ফ্লেমিং বলেন, তাঁদের পরিসংখ্যান অনুসারে এখনও পর্যন্ত সিরিয়া ছেড়ে পালানো মানুষের সংখ্যা ২,৩৫,৩০০। তার মধ্যে এই অগস্ট মাসেই দেশ ছেড়েছেন ১,০৩,৪১৬ জন। |
লেবাননের গ্রামে সিরিয়ার উদ্বাস্তু। |
রাষ্ট্রপুঞ্জের এই পরিসংখ্যানকে সমর্থন জানিয়ে আরও কিছু তথ্য তুলে ধরেছে সিরিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি। তুরস্কের তরফে জানানো হয়েছে, ৮ হাজার সিরিয়াবাসীকে আশ্রয় দিয়েছেন তাঁরা। সমসংখ্যক শরণার্থী এখনও দু’দেশের সীমান্তে আশ্রয়ের অপেক্ষায় রয়েছেন। জর্ডন সরকারের পেশ করা পরিসংখ্যান বলছে, দিনে অন্তত হাজার জন হিসেবে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার সিরিয়াবাসী সে দেশে আশ্রয় নিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একাধিক সংস্থা সিরিয়া ছেড়ে আসা শরণার্থীদের জন্য অস্থায়ী শিবিরেরও ব্যবস্থা করছে।
আজ সকালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে দেখা করেন রেড ক্রসের প্রধান পিটার মোরে। আসাদ তাঁকে বলেন, রেড ক্রস ‘নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন’ ভাবে কাজ করলে তিনি তাদের সমর্থন করবেন। এর পর মোরে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দামাস্কাস এবং সংলগ্ন কিছু এলাকাও ঘুরে দেখেন। |
ধ্বংসস্তূপ। আলেপ্পো শহরে। |
রেড ক্রসের মুখপাত্র সিসিলিয়া গয়েন বলেন, যাঁরা এখনও সিরিয়া ছেড়ে যাননি তাঁদের হাতে প্রয়োজনীয় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়াই সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। গত সপ্তাহে তাঁদের সংস্থার তরফে পাঁচ হাজার জনের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়েছে। বিলি করা হয়েছে দু’হাজার মাদুর এবং টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, সাবান-সহ প্রায় এক হাজার ‘হাইজিন কিট’। কিন্তু তা যে চাহিদার তুলনায় নগণ্য সে কথাও এক বাক্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
|