টুকরো খবর
সেচ দিতে না পেরেই পর্ষদে তালা চাষিদের
এক মাসেরও বেশি সময় অকেজো ৩ ট্রান্সফর্মার। আমন চাষে জলসেচ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কয়েকহাজার চাষি। বারবার আবেদন করেও সমস্যা না মেটায় বিদ্যুত বণ্টন কোম্পানির দফতরে তালা ঝুলিয়ে দিলেন কয়েকশ চাষি। মালদহে চাঁচলের মালতিপুরে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির দফতরে বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে। উত্তেজিত বাসিন্দাদের বিক্ষোভে দফতরে ঢোকেননি কর্মীরা। ঘণ্টা দুই বিক্ষোভ চলার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে দফতরের তালা খোলা হয়। চাঁচলের গৌড়হন্ড, খেমপুর ও মালতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ২৫টি গ্রামের কয়েকশ বাসিন্দা এ দিন ওই দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বাসিন্দাদের অভিযোগ, জুলাই মাসেই গোবিন্দপাড়ার পশ্চিম ও উত্তর মাঠে, খেমপুরের রানিগঞ্জে মাঠের ৩টি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যায়। বিষয়টি দফতরে জানানো হলেও আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনি। স্টেশন ম্যানেজার সমীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিক্ষোভের ভয়ে কর্মীরা দফতে ঢুকতে পারেননি। সমস্যার কথা জানি। কিন্তু জেলায় ট্রান্সফর্মারের জোগান নেই। বহু বার দরবার করেও ট্রান্সফর্মার মেলেনি।” বিক্ষোভকারীদের দাবি, গোবিন্দপাড়া পশ্চিম মাঠে ট্রান্সফর্মার পুড়ে যাওয়ায় এলাকার ২৫০ একর আমন ধানের খেত শুকিয়ে যেতে বসেছে। বাকি দুটি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে পড়ায় কয়েকশ চাষিরও একই অবস্থা। সব মিলিয়ে ২৫টি গ্রামের হাজারেরও বেশি চাষি জলসেচ করতে না পেরে মাথায় হাত পড়েছে। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির নর্থ মালদহ ডিভিশনাল ম্যানেজার বরুণ বিশ্বাস বলেন, “এ বার বৃষ্টি নেই। স্যালো পাম্পসেট চালিয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছেন চাষিরা। পাশাপাশি বিপিএলের প্রচুর সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বাড়তি চাপে বহু এলাকায় ট্রান্সফর্মার বিকল। জেলা জুড়েই একই সমস্যা তৈরি হওয়ায় ট্রান্সফর্মার পাল্টাতে দেরি হচ্ছে। জেলায় ট্রান্সফর্মারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।” জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (বিদ্যুৎ) সৈয়দ মানজারুল ইসলামের অভিযোগ, “পরিকাঠামো তৈরি না করেই বিপিএল তালিকাভূক্তদের ঢালাও সংযোগ দেওয়ার ফলে চাপ নিতে না পারায় ট্রান্সফর্মার পুড়ে একাধিক এলাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।”

হামলার নালিশ
দলীয় বৈঠকে-এ যাওয়ার সময় পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ তথা সিপিএম নেতার উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে একদল কংগ্রেস সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসলামপুর থানার মাটিকুন্ডা এলাকাতে ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন দুপুরে দলীয় বৈঠকে যাচ্ছিলেন ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির জমি বিষয়ক কর্মাধ্যক্ষ তথা সিপিএম এর মাটিকুন্ডা লোকাল কমিটির সম্পাদক ইউসুফ আলি। অভিযোগ, আচমকা পেছন থেকে তাঁর উপর হামলা চালায় কংগ্রেসের সমর্থকেরা। বাইকে একা পেয়ে তাঁকে ঘুষি ও চড় মারতে থাকে তারা। খবর পেয়ে স্থানীয় সিপিএম সমর্থকেরা তাঁকে উদ্ধার করে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করান। ইসলামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুবিমল পাল জানান, অভিযোগ জমা পড়লে তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিপিএমের অভিযোগ, এদিন এলাকার এক কংগ্রেস নেতার মদতে তাঁর লোকজন হামলা চালিয়েছে। সিপিএম-এর ওই নেতা ইউসুফ আলি বলেন, “পার্টির কাজে যাচ্ছিলাম। সে সময়ে আমার উপর হামলা চালিয়েছে কংগ্রেসের সমর্থক হাপিজ উদ্দিন এবং তার লোকজন। ১৫ সেপ্টেম্বর মাটিকুন্ডা স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচন রয়েছে। সে জন্যই ভয় দেখাতে ওরা হামলা চালিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” সিপিএমের ইসলামপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক স্বপন গুহ নিয়োগী জানান, সামনে স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচন। তাই হামলা চালিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে কংগ্রেস। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেন কংগ্রেসের সমর্থক হাফিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। এলাকায় এক গরু চোর ধরার পর তাকে ঘিরেই উত্তেজনা চলছিল। বিভিন্ন দুষ্কৃতীকে সিপিএমের কিছু নেতারা আশ্রয় দিত বলে অভিযোগ। সে কারণে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে উত্তেজিত জনতা।” এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলার সদস্য জাকির হুসেন এই দিন জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় দলের কোনও সমর্থকও জড়িত নয়।

কোচবিহারে টাকা নিয়ে উধাও যুবক
একটি শিশুকে ভাই পরিচয় দিয়ে রেখে দোকান মালিকের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে উধাও হল অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক। বৃহস্পতিবার দুপুরে কোচবিহার শহরের মিনি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই শিশুর নাম শাহানুর হক। তার বাড়ি দেউরহাটে। সে দাদুর সঙ্গে বাসে করে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসছিলেন। ওই যুবক দুই জনের সঙ্গে কথা বলে ভাব জমায়। বাসস্ট্যান্ডে নামার পর শিশুটিকে আপেল কেনার কথা বলে সে একটি দোকানে যায়। শিশুটিকে ভাই পরিচয় দিয়ে ৪০০ টাকা দোকানদারের কাছ চায়। শিশুটিকে আপেল বাছতে বলে। দাদু পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে বলে, খুচরো না থাকায় মিষ্টির দোকানে হাজার আটকে রয়েছে। ৪০০ টাকা নিয়ে সে উধাও হয়ে যায়। দাদু-নাতির সঙ্গে ফল বিক্রেতার গোলমাল শুরু বলে বিষয়টি সামনে আসে।

তালা ঝুলিয়ে ক্ষোভ
দীর্ঘদিন অচল ট্রান্সফর্মার। বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানিকে বারবার জানিয়েও লাভ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার দফতরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। চাঁচলের মালতিপুরে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.