কিট নেই। তাই রক্ত সঙ্কট বেড়ে গিয়েছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে।
কিটের অভাবে রক্তদান শিবিরের প্রস্তাব বাতিল হয়েছে রবিবারই। বুধবারেই হাসপাতালে নোটিসও দিয়ে দেওয়া হয়েছে, রক্ত নেই। পরিস্থিতি ক্রমশ নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে, হাসপাতালের সুপার শাশ্বত মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি নিজেই বৃহস্পতিবার কলকাতায় গিয়ে কিটের জন্য দরবার করবেন।
২৫০ শয্যার এই মহকুমা হাসপাতালে গড়ে তিনশোরও বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। তার মধ্যে প্রসূতি থাকেন গড়ে ১৬০ জন। সব মিলিয়ে গড়ে দৈনিক বারো ব্যাগ রক্ত লাগে। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে এক সঙ্গে সাড়ে তিনশো ব্যাগ রক্ত রাখার জায়গা রয়েছে। সাতটা ব্লকের মধ্যে এই একমাত্র ব্লাড ব্যাঙ্ক। |
এই এলাকায় ব্লক হাসপাতাল, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়াও স্থানীয় কিছু নার্সিং হোমও এখান থেকেই রক্ত পায়। সিপিএমের যুব সংগঠন সম্মেলন বর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় রক্তদানের শিবির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার এই রক্তদান শিবির হওয়ার কথা ছিল মির্জাপুর গ্রামে। যুব সংগঠনের লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রকাশ ঘোষ বলেন, “রবিবার রক্তদান শিবিরের কথা বহু আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই কিট নেই বলে শিবির বাতিল করে দিতে অনুরোধ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।” কানুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনিরুজ্জামান আরাফত বলেন, “মঙ্গলবার ১৩৬ জন গ্রামবাসী রক্তদানের জন্য এসেছিলেন। কিন্তু কিট নেই বলে মাত্র ৫৩ জনের রক্ত নেওয়া গিয়েছে।”
সুপার শাশ্বতবাবু বলেন, “এক সপ্তাহ থেকে কিট নেই হাসপাতালে। জরুরি পরিস্থিতির কথা জানিয়ে কিট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কিট মেলেনি। তাই গত দু’টি রক্তদান শিবিরে সংগৃহীত রক্ত বহরমপুর জেলা ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে পরীক্ষা করিয়ে এনে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই দিন সকালেও ৭ ব্যাগ রক্ত থাকলেও পরে তা-ও শেষ হয়ে যায়।”
কিট না থাকায় এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আমিনুল ইসলামও। তিনি কংগ্রেস সংগঠনের হয়ে রক্তদান শিবির আয়োজন করেন। তাঁর কথায়, “রক্তের কিট ও ব্যাগ কলকাতা থেকে সরাসরি মহকুমা হাসপাতালগুলিতে সরবরাহ করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রায়ই এমন সঙ্কট হচ্ছে। কোথাও একটা সমন্বয়ের অভাব হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।” |