বকেয়া বেতনের দাবিতে হাসপাতাল সুপারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন অস্থায়ী ঠিকাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে। দীর্ঘ আট মাস ধরে কাজ করে বেতন না পেয়ে বিক্ষোভে এ দিন সামিল হন হাসপাতালের ৩৯ জন ঠিকাকর্মী। এ দিন সকাল থেকে হাসপাতালের সুপারের ঘরের সামনে ধর্নায় বসেন তাঁরা। দুপুরের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি অবিলম্বে বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন। অস্থায়ী এই ঠিকাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন এক জন সুপারভাইজার, ১৬ জন নিরাপত্তাকর্মী এবং ২২ জন সাফাইকমী। |
তাঁরা স্থানীয় এক ঠিকাদারের অধীনে কাজ করেন। অভিযোগ নিরাপত্তাকর্মীরা গত জানুয়ারি মাস থেকে এবং সাফাইকর্মীরা মে মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন না। হাসপাতাল সুপার থেকে শুরু করে জেলাশাসক, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি।
হাসপাতালের সুপার শ্যামল কুমার চক্রবতী বলেন, “ঠিকাকর্মীদের বেতন সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার অনুমোদিত সেই বেতনের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।”
সারা বাংলা হাসপাতাল রোগী কল্যাণ ও অস্থায়ী ঠিকাকর্মী ঐক্য কেন্দ্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক ও হুগলি জেলা সভাপতি শুভেন্দু ঘোষ বলেন, “আগে আমরা খুব কম বেতনে কাজ করতাম। কিন্তু এখন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের বেতন হাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সরকার অনুমোদিত বর্ধিত বেতন এখনও আমরা হাতে পেলাম না। প্রতি মাসে ঠিকাদার সংস্থা থেকে শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং স্বাস্থ্য দফতরকে জানাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দিকে কারও হুঁশই নেই। বাধ্য হয়েই আন্দোলনের পথে যেতে হয়েছে। তবে পরিষেবায় কোনও বিঘ্ন ঘটেনি।”
সাফাইকর্মী আরতি হরিজন বলেন, “১২ বছর এখানে কাজ করছি। কিন্তু গত আট মাস যাবৎ বেতন পাইনি। সংসার চালাব কী করে? সামনেই পুজো। বেতন না পেলে কী হবে বুঝতে পারছি না।” |