জল-বাহিত রোগে মৃত্যু, আক্রান্ত ১৩
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
ডুয়ার্সের নাগরাকাটা জুড়ে জলবাহিত রোগ কলেরায় আক্রান্তের সন্ধান মিলছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ১৩ মল পরীক্ষা করে কলেরার স্পষ্ট প্রমাণ মেলায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। সোমরা ওঁরাও (৭০) নামে এক বৃদ্ধ কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারাও গেছেন বলে অভিযোগ। ওই বৃদ্ধকে পরীক্ষা করার মতো সময় না পেলেও তাঁর পরিবারের দুজনের শরীরে কলেরা জীবাণুর সন্ধান মিলেছে। মোট ১৩ জনের মধ্যে ৮ জনকে চিকিৎসার পর বাড়ি পাঠানো হলেও নাগরাকাটার শুল্কাপাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বর্তমানে কলেরার লক্ষন নিয়ে ৫ জন ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন মহিলা। গোটা ব্লক থেকে আরও ৮ জনের মলের নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মূলত খয়েরকাটা, উত্তর ঝাড়টন্ডু, জিতি চা বাগান থেকে রোগীরা আসছেন। বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতা স্বাস্থ্যভবন থেকে রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের অতিরিক্ত ডিরেক্টর মৃণাল বিশ্বাস, জলপাইগুড়ি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার, অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনুপ দেব সিংহ নাগরাকাটা ব্লক পরিদর্শন করেন। শুল্কাপাড়া ব্লক হাসপাতাল ও অন্যান্য সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলে জানান। জলপাইগুড়ি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “কবে শেষ কলেরা জলপাইগুড়িতে দেখা দিয়েছে তা জানি না। জেলার পুরোনো চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেও জেনেছি যে ওঁরাও চাকরি জীবনে কলেরার হদিশ পাননি।” স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কলেরা সন্দেহে যারা ভর্তি রয়েছেন তাঁদের থেকে প্রসূতি মা ও শিশুদের সরিয়ে পৃথক ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছে। মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। নাগরাকাটা ব্লকে আপৎকালীন ভাবে জল শোধনেহ্যালোজেন ট্যাবলেট পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র। মুখ্যমন্ত্রীকেও বিষয়টি তিনি জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
|
মানবাজারে ডায়েরিয়া
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার |
ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে মানবাজারের বাগডেগা গ্রামে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতায় ডায়েরিয়া নিয়ন্ত্রণ দূরের কথা, উল্টে এর প্রকোপ বেড়েছে। খোদ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ডায়েরিয়ায় এই এলাকার প্রায় ১০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ অগস্ট থেকে বাগডেগা গ্রামে ডায়েরিয়ার প্রকোপ শুরু হয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ সিং হাঁসদার দাবি, “ওই গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সোমবার থেকে এলাকায় গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত পরিদর্শন করে ওষুধপত্র বিলি করছেন। প্রায় ১০০ জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে মানবাজার গ্রামীন হাসপাতালে ৩৫ জনের চিকিৎসা করানো হয়।’’ স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, গ্রামে থাকা অসুস্থ লোকজন পুকুরের জল ব্যবহার করার ফলে রোগ দ্রুত ছড়িয়েছে। বাগডেগা গ্রামের বাসিন্দা তথা গোপালনগর পঞ্চায়েতের প্রধান কৃত্তিবাস মাহাতো বলেন, এক বৃদ্ধা মঙ্গলবার ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে শুনেছি। বাসিন্দাদের পরিশ্রুত পানীয় জল পান করতে বলা হচ্ছে।” তবে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধা গ্রামেই মারা গিয়েছেন। ফলে তাঁর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়।
|
এ বার ডেঙ্গি মোহনবাগানে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক দিকে টোলগে সমস্যায় জর্জরিত মোহনবাগান। তা মেটার আগেই এ বার ডেঙ্গির প্রকোপ সবুজ-মেরুন তাঁবুতে। ফিজিও জোনাথন কর্নারের সঙ্গে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ডিফেন্ডার খেলেম্বা সিংহ এবং ফরোয়ার্ড সি এস সাবিথ। তবে সবুজ-মেরুন কর্তা দেবাশিস দত্তের কথায়, “ওদের সকলের রক্তেই ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে অল্প মাত্রায়। শুক্রবার আর এক বার পরীক্ষা হবে।”
|
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
চুরুলিয়ার নজরুল প্রমিলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তৃণমূলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র জঙ্গলে ভরে গেছে। আবর্জনা সাফাই হয় না। চিকিৎসক থেকে শুরু করে অন্য কর্মীরা দেরিতে আসেন, আবার সময়ের আগে চলে যান। তাতে নাকাল হয় রোগীর পরিবার। কতৃর্পক্ষ জানান, অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
|
প্রতিষ্ঠা দিবস
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়গপুর |
খড়্গপুর কলেজের ৬৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হল বুধবার। কলেজের হিমাংশুভূষণ সরকার মেমোরিয়াল হলে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বাগচি, সমীরেশ দাশগুপ্ত, বিশ্বনাথ মিশ্র প্রমুখ। কলেজের প্রাক্তন কর্মী রামচন্দ্র লায়েককে সর্ম্বধনা জানানো হয়। প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে ৩৮ জন রক্তদান করেন।
|
আর্সেনিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে শহরের সব ধরনের নলকূপের জল পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। মেয়র পারিষদ (নলকূপ) তারক সিংহ বৃহস্পতিবার জানান, আর্সেনিক টাস্কফোর্সের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। তিনি বলেন, “শহরে পুর নিয়ন্ত্রণে ৪৫০টি ও বেসরকারি নিয়ন্ত্রণে ৯২০টি গভীর নলকূপ আছে। মোট অগভীর নলকূপ প্রায় ১৩ হাজার। পুরসভার নলকূপগুলির জল পরীক্ষা করবে পুরসভাই। বেসরকারি সংস্থাকে নিজ-উদ্যোগে সরকারি সংস্থা থেকে পরীক্ষা করিয়ে পুরসভাকে রিপোর্ট দিতে হবে”। |