|
|
|
|
এসএমএস বার্তা |
আলোচনায় যাবে কেএলও-দল, দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
আলোচনাপন্থী কেএলওদের তরফে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য এক প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে। সংগঠন সূত্রে জানানো হয়েছে, আজ শুক্রবার ও শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জলপাইগুড়ি সফরের সময়ে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে জলপাইগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সফরে আলোচনাপন্থী কেএলওদের সঙ্গে কোনও আলোচনার সূচী নেই। বৃহস্পতিবার কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন তথা কেএলও-র সহকারি সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে প্রাণ নারায়ণ কোচের তরফে এক এসএমএস বার্তায় দাবি করা হয়েছে, রাজ্য সরকারের এক প্রতিনিধি দল তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সরকার কেএলওদের সঙ্গে আলোচনায় বসার উদ্যোগকে সংগঠন স্বাগত জানায়। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “এধরণের কোনও আলোচনার সূচী প্রশাসনের জানা নেই।” নিজেকে কেএলওর সহ-সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বার্তা পাঠানো প্রাণ নারায়ন কোচের পরিচিত নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। আলোচনাপন্থী কেএলও নেতা মিল্টন বর্মন, হর্ষবর্ধন দাস প্রমুখেরা প্রাণ নায়ারণ কোচকে চেনেন না বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর জলপাইগুড়ি সফরের সময়ে কোনও আলোচনার কথাও জানা নেই বলে একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। ২০০৩ সালে ভুটানে সেনা অভিযানে ধৃত ও আত্মসমর্পণকারী প্রথম সারির কেএলও নেতৃত্ব-সহ অনান্য সদস্যরা গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রকাশ্য সভা করে প্রথমবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়। যদিও সরকারিস্তরে এরপরে কেএলওদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। টম অধিকারি-সহ কয়েকজন প্রথমসারির নেতা যারা বেলাকোবার সভায় উপস্থিত ছিলেন বেশ কিছু দিন পর থেকে তাঁদের আর কোনও হদিস নেই বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন আলোচনাপন্থী কেএলও সদস্য মিল্টন বমর্ন বলেন, “কোনও আলোচনার কথা আমাদের জানা নেই। সহ সাধারণ সম্পাদক বলে যার নাম বলা হচ্ছে তাকেও আমরা চিনি না।” আলোচনাপন্থী আরেক নেতা হর্ষবর্ধন দাস বলেন, “আমার কাছে আলোচনার কোনও খবর নেই।” |
|
|
|
|
|