|
|
|
|
তরুণকে খুন, ধৃত ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রতিবেশী তরুণীকে ‘ডান্স ক্লাবে’ নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করায় এক তরুণকে ছুরি মেরে খুনের অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে দার্জিলিং সদর থানার লাদেন লা রোডে। পুলিশ জানায়, মৃত তরুণের নাম নিমা তামাং (১৮)। তাঁর বাড়ি ওই থানা এলাকারই পচপনহাট্টিতে। ধৃত যুবকের নাম তেনজিং শেরপা। ১৬ বছরের ওই যুবকের বাড়ি রিম্ভিকে। সে ছোটবেলা থেকেই দার্জিলিং শহরে বসবাস করে। বৃহস্পতিবার তেনজিংকে দার্জিলিং জুভেনাইল বোর্ডে তোলা হলে তাকে জলপাইগুড়ি কোরম হোমে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “খুনের অভিযোগে ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে ছুরি দিয়ে ওই তরুণকে খুন করা হয়েছে সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত থাকলে গ্রেফতার করা হবে।” পুলিশ সূত্রের খবর, তেনজিং এবং তার আরও কয়েকজন বন্ধু নিয়মিত ডান্স ক্লাবে যায়। তেনজিংয়ের বন্ধুদের তালিকায় নিমার প্রতিবেশী এক তরুণীও ছিল। তা নিয়েই আপত্তি ছিল নিমার। তাঁর প্রতিবেশী তরুণীকে যাতে তেনজিং ডান্স ক্লাবে না নিয়ে যায় তা নিয়ে কয়েক দফায় সতর্ক করেছিল নিমা। কিন্তু নিমার কথায় কোনওরকম গুরুত্ব দেয়নি তেনজিং। ওই দিন সন্ধ্যায় তেনজিং তার বন্ধুরা একটি হোটেলে যায়। সেখানে নিমার প্রতিবেশী তরুণীও ছিল। সেখান থেকে বেরোনের পরেও লাদেন লা রোডে নিমার সঙ্গে তেনজিংয়ের দেখা হয়। দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সে সময় আচমকা ছুরি বের করে নিমার পেটে আঘাত করে তেনজিং। স্থানীয় বাসিন্দারা নিমাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, তেনজিংয়ের বিরুদ্ধে এর আগেও একটি চুরির অভিযোগ রয়েছে। তার পরিবার গরিব হওয়ায় ছোটবেলাতে দার্জিলিং শহরের এক চিকিৎসক তেনজিংয়ে দত্তক নেয়। কিছুটা বড় হওয়ার পর ওই চিকিৎসকের টাকা চুরি করে তেনজিং। ঘটনাটি জানার পর তেনজিংকে রিম্ভিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয় ওই চিকিৎসক। কিছুদিন সেখানে থাকার পর ফের পালিয়ে দার্জিলিংয়ে চলে যায় তেনজিং। এর পর তার ঠিকানা হয় বিভিন্ন হোটেল এবং বন্ধুদের বাড়ি। এক পুলিশ কর্তা বলেন, “নিমার সঙ্গে গণ্ডগোলের আশঙ্কায় তেনজিং সঙ্গে ছুরি রেখেছিল। তা দিয়েই তাকে খুন করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|