শিলান্যাসের প্রস্তুতি জলপাইগুড়িতে
লকাতা হাইকোর্ট যে দিন নির্দেশ দেবেন, সে দিন থেকেই জলপাইগুড়িতে অস্থায়ী সার্কিট বেঞ্চ চালু করে দিতে পারবে রাজ্য সরকার। জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাসের দুই দিন আগে অস্থায়ী ভবনের পরিদর্শন করে এমনই দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। ১ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে হাইকোর্টের স্থায়ী ভবনের যৌথভাবে শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেল। প্রস্তুতি দেখতে বৃহস্পতিবারই জলপাইগুড়িতে এসেছেন আইনমন্ত্রী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। এদিন দিনভর সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ও অস্থায়ী সব পরিকাঠামো ঘুরে দেখেছেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অস্থায়ী ভবন তথা জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় ৪টি শীততাপনিয়ন্ত্রিত এজলাস তৈরি হয়েছে। পাঁচজন বিচারপতির দফতর-সহ বিচারপতিদের জন্য গ্রন্থাগার, বার লাইব্রেরি, আইনজীবীদের বসার ঘর তৈরি ও সংস্কারের কাজ সেরে ফেলা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আইনজীবীদের গাড়ি রাখার জায়গা, সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের জন্য শৌচাগার, পৃথক যোগাযোগের রাস্তা সবই তৈরি করা হয়েছে।
ছবি: সন্দীপ পাল।
এদিন আইনমন্ত্রী মলয়বাবু বলেন, “হাইকোর্টের অস্থায়ী ভবন প্রস্তুত। এবার হাইকোর্ট যেদিন বলবেন সেদিনই এই ভবনে কাজ শুরু করে দিতে পারবে রাজ্য সরকার।” সরকারি সূত্রের খবর, অস্থায়ী ভবনের কাজ শুরু করতে হলে এখন প্রয়োজন দুটি পদক্ষেপ। সার্কিট বেঞ্চ চালুর জন্য রাষ্ট্রপতির একটি বিজ্ঞপ্তি, যার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। এবং হাইকোর্টের কর্মীদের জলপাইগুড়িতে বদলি করা এবং মামলা নথিবদ্ধ করার প্রক্রিয়া চালু করা। এই দুটি বিষয়ই হাইকোর্টের এক্তিয়ারভুক্ত বলে জানানো হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় শিলান্যাস অনুষ্ঠানের আগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ অনান্য বিচারপতি এবং হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবন পরিদর্শন করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। সেই পরিদর্শনে অস্থায়ী ভবনে আর কোনও সংস্কারের কাজ বা নতুন করে কিছু তৈরি করা হবে কী না তার নির্দেশ হাইকোর্টের তরফে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মুকুল রায়, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, আইনমন্ত্রী-সহ অন্য মন্ত্রীরা থাকবেন। হাইকোর্টের তরফে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও পাঁচজন বিচারপতি এবং রেজিস্ট্রার জেনারেল উপস্থিত থাকবেন। পাহাড়পুরের স্থায়ী ভবনের থেকে প্রায় পাঁচশো মিটার দূরে জলপাইগুড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্স ময়দানে শিলান্যাস অনুষ্ঠান হবে। সেখান থেকেই রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ভবন নির্মাণের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতি। ইতিমধ্যেই সারা শহরে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের তরফে তোরণ তৈরি করা হয়েছে। গৌতমবাবু বলেন, “সরকারের তরফে যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ সেরে ফেলা হয়েছে। শিলান্যাস অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও শেষপর্বে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.