স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা। যার জেরে স্কুলের মধ্যেই পরিচালন সমিতির সম্পাদক ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে রাখা হয়। রাত পর্যন্ত ওই ঘেরাও চলছে বলে স্কুুল সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্থি রাজবল্লভপুর রঙিলাবাদ রামলাল মেমোরিয়াল হাইস্কুলের ঘটনা।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার ওই স্কুলের এক ছাত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ দিন বিকালে তা নিয়ে আলোচনার জন্য পরিচালন সমিতির সম্পাদক সমীর মণ্ডল ও অন্যান্য সদস্যেরা স্কুলে আসেন। তা জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রছাত্রীরা। পরে অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের অনেকেই যোগ দেন তাদের সঙ্গে। ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করার দাবি জানাতে থাকে তারা। ওই দাবিতে স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ছাত্রছাত্রী ও বাসিন্দারা। এমনকী সম্পাদককে স্কুলের বাইরে বের করে দেওয়ার দাবিও তারা জানান। ফলে আটকা পড়েন ২২ জন শিক্ষক শিক্ষিকা-সহ অন্যেরা।
এ দিন সহকর্মীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক সুব্রত দলপতি অবশ্য বলেন, “ঘটনার দিন আমি ছিলাম না। তা ছাড়া বিষয়টি নিয়ে কোনও আলোচনায় হতে পারল না। ফলে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা ঠিক নয়।” তিনি আরও বলেন, “সম্পাদকের উপর চড়াও হয়ে বিক্ষোভকারীরা যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটিয়ে ফেলেন তাই গেটের বাইরে তালা দিয়েছিলাম।”
সমীরবাবু বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের উপর দুর্বব্যহারের অভিযোগ মিথ্যা। আগে তৃণমূল করতাম। বিধানসভার পর নির্দল হয়ে পরিচালন সমিতির সম্পাদক হয়েছি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বই আমাদের ঘেরাও করে রেখেছেন।” যদিও মগরাহাট ১ ব্লকের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মানবেন্দ্র মণ্ডলের দাবি, “ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ও সাধারণ কিছু মানুষই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।” পুলিশ জানায়, বিক্ষোভকারীরা রাতের দিকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেরতে বাধা দেননি। কিন্তু শিক্ষকেরা সম্পাদককে ছাড়া বেরোতে রাজি হননি। তবে কোনও পক্ষই রাত পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। |