বেঙ্গালুরু টেস্টে সম্মানজনক কিছু করে দেখাতে হলে নিউজিল্যান্ডকে কিন্তু নিজেদের খেলার মান এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে নিতে হবে। তবে একটা ব্যাপার হল, হায়দরাবাদে যে উইকেটে প্রথম টেস্ট খেলে এসেছে নিউজিল্যান্ড, বেঙ্গালুরুর উইকেট তার থেকে অন্য রকম হবে বলেই মনে হচ্ছে। গত ক’দিনে এখানে খুব বৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে সন্ধ্যার দিকটা। ফলে উইকেট চট করে ভাঙবে না। বল ঘুরবেও কম। তবে এটাও ঘটনা, প্রথম বল পড়ার আগে ক্রিকেট পিচ কী রকম হবে, সেটা সব সময় বোঝা যায় না।
উইকেটের চরিত্র বদলালেও বদলাতে পারে, কিন্তু আমার মনে হয় না ভারতীয় দলে কোনও পরিবর্তন হবে বলে। ধোনিরা এই সিরিজটা ২-০ জিততে মরিয়া হয়ে আছে। আবার ভারতের সেরা ব্যাটসম্যানরাও কিন্তু নিউজিল্যান্ড বোলিংয়ের ফয়দা তুলতে নামবে। সহবাগ, গম্ভীর, সচিন বেশ কয়েকটা টেস্টে সেঞ্চুরিহীন রয়েছে। এটা ওদের ক্লাসের ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ঠিক খাপ খায় না। তাই ওদের মধ্যে কেউ উইকেটে জমে যায়, তা হলে কিউয়িদের জীবন কিন্তু অতিষ্ঠ করে তুলবে।
ভারতীয় বোলিং ইউনিটকে যথেষ্ট মসৃণ দেখাচ্ছে। জাহির খান একটা লম্বা মরসুমের জন্য তৈরি হচ্ছে। উমেশ যাদবও জাহিরের সঙ্গে থেকে থেকে বড় মঞ্চের জন্য তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আর স্পিনাররা তো দারুণ একটা স্পেলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। হায়দরাবাদে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার পর সবার নজর এখন অশ্বিনের উপরই থাকবে। তবে প্রজ্ঞান ওঝাকেও কিন্তু ভুললে চলবে না। উল্টো দিক থেকে কিউয়ি ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখার কাজটা এই বাঁ হাতি স্পিনার করে যাচ্ছে।
যেটা শুরুতে বলেছিলাম, নিউজিল্যান্ডকে এই টেস্টে ভাল কিছু করে দেখাতে হলে ব্যাটিংয়ে দারুণ উন্নতি করতে হবে। আমি নিশ্চিত, ভারতের মাটিতে নিজেদের সমস্যার সমাধান করার ব্যাপারে রস টেলররা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে। দু’ টেস্টের মাঝের সময়টা কাজে লাগিয়েছে। কী ভাবে দুই স্পিনারকে খেলতে হবে, কিউয়ি মিটিংয়ে নিশ্চয়ই সেই কথাটাই বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে।
নিউজিল্যান্ডের কাছে টস জেতাটা কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তা হলে অন্তত টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ভারতীয় স্পিনারদের সামনে কঠিন পরীক্ষায় বসার আতঙ্কটা ওদের থাকবে না। ওদের দলে সম্ভবত দুটো পরিবর্তন হবে। উইকেটকিপার আর ফ্লিন। আমি জানি না, নিউজিল্যান্ডের রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তিটা কেমন। কিন্তু একটা কথা বলতেই হবে। ভারতের সঙ্গে লড়তে হলে রস টেলর এবং কোম্পানিকে কিন্তু ‘স্পেশাল’ কিছু একটা করতেই হবে। |