|
|
|
|
খড়্গপুর পুরসভা চেকে কার সই, জিজ্ঞাসা ইও’র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
পুর-দফতর থেকে এখনও নির্দেশ আসেনি। ফলে, জটিলতা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে খড়্গপুরে পুর-কর্মীদের বেতন নিয়েও সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা। নিয়মানুযায়ী, পুরপ্রধানই চেকে সই করেন। কিন্তু, এ বার চেকে কে সই করবেন, তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, লিখিত ভাবেই জেলাশাসক ও খড়্গপুরের মহকুমাশাসকের কাছে তা জানতে চেয়েছেন খড়্গপুর পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার (ই ও) বাসুদেব পাল। তিনি বলেন, “চেকে কে সই করবেন, সেই বিষয়টি জানতে চেয়েছি।” খড়্গপুর পুরসভায় প্রায় ২৯৭ জন স্থায়ী কর্মী। অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা ৭৯। চেকে কে সই করবেন, পুরপ্রধান না উপপুরপ্রধান, সেই বিষয়টি স্পষ্ট না- হলে আগামী মাসের বেতন নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মেনে নিচ্ছেন পুর-কর্তৃপক্ষও। বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও পুরসভায় আসেননি পুরপ্রধান জহরলাল পাল। এ দিনও দায়িত্ব সামলেছেন উপপুরপ্রধান তুষার চৌধুরী। তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস। এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সোমবার বোর্ড মিটিং হয়। ওই মিটিং বৈধ না অবৈধ, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। মিটিংয়ে উপস্থিত ৩১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৬ জনের সমর্থন নিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন কংগ্রেসের চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। এরপর অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। পরিস্থিতি দেখে কৌশলে ভোটাভুটি এড়িয়ে যায় তৃণমূল। দলীয় কাউন্সিলররা একযোগে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। তৃণমূলের বক্তব্য, অবৈধ ভাবে সভাপতি নির্বাচন হয়েছে। পুরপ্রধানের পরিবর্তে সভাপতি হন উপ-পুরপ্রধানই। কংগ্রেস অবশ্য এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, অনাস্থা ভোটে পুরপ্রধান জহরলাল পাল হেরে গিয়েছেন। নিয়মানুযায়ী, অনাস্থা পাশ হলে ১৫ দিনের মধ্যে পুরপ্রধান নির্বাচনের মিটিং হবে। ভোটাভুটিতে নির্ধারিত হবে পুরপ্রধানের ভাগ্য। আর এই সময়ের মধ্যে পুরসভার কাজকর্ম দেখভাল করবেন উপপুরপ্রধান। কিন্তু, খড়্গপুরের ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই জানাচ্ছে, বিষয়টি পুর-দফতর দেখছে। ওই দফতর থেকে যে নির্দেশ আসবে, সেই মতোই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। |
|
|
|
|
|