ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৬৭ খ্রিস্টাব্দে বহরমপুর শহরে প্রায় দু’ লক্ষ বর্গ গজ আয়তনের ফাঁকা জমির চারপাশে সেনানিবাস, প্রশাসনিক ভবন ও প্রশাসকদের বাংলো তৈরি করে। আর ওই মাঝের বর্গাকৃতি মাঠে রেন-ট্রি লাগিয়ে সাজিয়ে তোলে ব্যারাক স্কোয়ার ফিল্ড। ওই মাঠের চারদিকের দৈর্ঘ সমান। ৪৪০ গজ, বা ৪০২ মিটার। মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস জেলাশাসকের বাংলোর সামনে ধর্ণায় বসে ছিলেন। তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক ওই ময়দান বহরমপুর শহরের ফুসফুস। শহরের বাসিন্দারা সকালে-বিকেলে ওখানে বেড়াতে বেরোন। শহরের সেই মাঠই আজ আক্রান্ত। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার চাপে তা ভাগাড়ের চেহারা নিয়েছে।”
বছর খানেক আগে থেকেই বহরমপুরকে প্লাস্টিক মুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে পুরসভা। স্থানীয় কাউন্সিলর ডালিয়া বেগমের আক্ষেপ, “পুরসভার উদ্যোগে শহরটাকে প্লাস্টিক মুক্ত করা হয়েছে। অথচ সেই শহরের ঐতিহাসিক ব্যারাক স্কোয়্যার ময়দানের সবুজ ঘাসের গালিচা এক দিনেই প্লাস্টিকে ছেয়ে গিয়েছে। তা সাফ-সুতরো করার কোনও উদ্যোগই নেয়নি প্রশাসন।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সন্দীপ দত্ত বলেন, “আর্বজনা পড়েছে ঠিকই। তবে, সাফাই করার কাজও শুরু হয়েছে।” |