টুকরো খবর
কোটশিলার জঙ্গলে ভালুক-মানুষ লড়াই
পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে জখম চরকু মুড়া। ছবি: সুজিত মাহাতো
ভালুকের লোমশ মাথাটা ডান হাত দিয়ে কোনওক্রমে ঠেকিয়ে রেখেছেন। অন্য হাতে ক্রমাগত ঘুঁষি মেরে চলেছেন তার ছুঁচলো মুখে। কিন্তু প্রতিপক্ষ কি ছেড়ে কথা কয়! ইঞ্চি ছয়েকের লম্বা নখে ইতিমধ্যেই ফালাফালা হয়ে গিয়েছে তাঁর ডান হাত। থাবা বসিয়েছে মাথাতেও। চুল-চামড়া উঠে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে খুলি। আস্ত একটা ভালুকের সঙ্গে আর কতক্ষণই বা যোঝা যায়, পুরুলিয়ার কোটশিলার কাঁড়িয়র গ্রামের লাগোয়া জঙ্গলে যুদ্ধটা যখন ক্রমেই অসম হয়ে উঠছে তখন ষাটোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধ চরকু মুড়ার চিৎকারে ছুটে এসেছিলেন জঙ্গলে পাতা কুড়োতে আসা গ্রামের অন্যেরা। চরকুর আত্মীয় শুকরাম মুড়া তাঁদেরই এক জন। তিনি জানান, মানুষ-ভালুকের এমন যুদ্ধ ভাবাই যায় না! চরকুর মরিয়া চিৎকারে ছুটে এসেছিলেন কার্তিক মুড়া ও শরৎ মুড়ারাও। তাঁরাও বলেন, “দর দর করে রক্ত ঝরছে। চরকুকে চেনাই যাচ্ছিল না। তবু ভালুকটাকে মরিয়া চেষ্টায় ঠেকিয়ে রেখেছিল সে।” গ্রামবাসীরা ছুটে আসতেই বেগতিক দেখে ভালুকটা অবশ্য রণে ভঙ্গ দেয়। রক্তাক্ত চরকুকে নিয়ে গ্রামবাসীরা ছোটেন পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে। হাসপাতালের চিকিৎসক পবন মণ্ডল বলেন, “বৃদ্ধের মাথার চামড়া খুবলে নিয়েছে ভালুকটি। ডান হাতেও গভীর চোট রয়েছে। তবে ভালুকটির সঙ্গে লড়াই করে তাকে ঠেকিয়ে রাখতে না পারলে ওই বৃদ্ধ এ দিন মারাই যেতেন।” হাসপাতালের শয্যায় চরকুও বলেন, “নির্ঘাত মরে যেতাম। ভাগ্যিস গ্রামবাসীরা ছুটে এসেছিল। পাতা কুড়োচ্ছিলাম। একটা ঝোপ থেকে বেরিয়ে হঠাৎ ভালুকটা ঝাঁপিয়ে পড়ল। হাতের কুড়ুলটা পড়ে যায়। কোনওরকমে তাকে ঠেকিয়ে রেখেছিলাম।” বন দফতরের ডিএফও (পুরুলিয়া) অজয় দাস জানান, ওই বৃদ্ধের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বন বিভাগের।

ট্রেনে ধাক্কা, হাতি জখম
হাতিটির খোঁজে বনকর্মীরা। ছবি: রাজকুমার মোদক।
ট্রেনের ধাক্কায় হাতির জখম হওয়ার খবরের পর খুঁট্টিমারি জঙ্গলে হাতির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন বন কর্মীরা। দিনভর জঙ্গলের বেশ কিছু হাতির উপর নজরদারি চালানো হলেও জখম হাতির খোঁঁজ পাওয়া যায়নি বলে বন দফতর সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার ভোরে ডুয়ার্সের মরাঘাট চা বাগান সংলগ্ন রেললাইনের উপর আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িগামী মাল গাড়ির ধাক্কায় একটি হাতি জখম হয় বলে চা শ্রমিকদের থেকে জানতে পারে বনকর্মীরা। তবে রেলের চালক ঘটনার কথা বানারহাট স্টেশনে উল্লেখ করেননি বলে বন কর্তারা জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ির ডিএফও বিদ্যুৎ সরকার বলেন, “লাইনের আশেপাশে পরীক্ষা করে রক্তের মেলেনি। লাইনের পাশে কিছু বিষয় দেখে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে। মালগাড়িটির চালক সেখানে ট্রেনটি কিছুক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখেন বলে জানা যাচ্ছে। জঙ্গলের হাতির দলগুলির উপর আমরা নজরদারি চালিয়ে যাব। কোনও হাতি জখম হলে চিকিৎসা করা হবে।” মরাঘাট চা বাগানের বাসিন্দা হরি থাপার মত স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভোরে ৪টি হাতি লাইন পারাপারের সময় একটি জখম হয়। কয়েকজন তা দেখেন। ২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাল গাড়ির ধাক্কায় এক সঙ্গে সাতটি হাতি মারা যাওয়ার ঘটনায় দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন তৎকালীন দেশের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। পরে রেল ও বন দফতর নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখার উপর জোর দেয়। রেল লাইনের ধারে থাকা জঙ্গলে হাতির খবর মিললেই বন কর্মীরা রেলেকে সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন বলে ঠিক হয়। ঠিক হয় লাইনের ধারে রেল দফতরের জমিতে ধান, ভুট্টার চাষাবাদ বন্ধ করার উপর জোর দেওয়া হবে। সে দিনের ঘটনাস্থল থেকে ৫০ মিটার দূরে এ দিন ট্রেনের ধাক্কায় হাতির জখম হওয়ার খবরটি এসেছে।

হাতি ঢোকায় বড়জোড়ায় আতঙ্ক
দলমার দল ঢুকল বড়জোড়ায়। আর বড়জোড়া ছেড়ে দিন কয়েক আগে বাঁকাদহে আসা ময়ূরঝর্ণার হাতির পাল চলল গড়বেতার দিকে। এতে বাঁকাদহের বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার কিছুটা স্বস্তি পেলেও ৬০টি হাতি ঢোকার খবরে তটস্থ হয়ে উঠেছেন বড়জোড়ার বাসিন্দারা। এ দিন সকালে বড়জোড়া রেঞ্জ অফিসে গিয়ে বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। দু’দফায় বাঁকাদহে ঢুকে দলমার ৬০টি হাতি কার্যত কোনও উৎপাত না করে দৌড় লাগায় সোনামুখীর দিকে। সেই পাল বড়জোড়ায় ঢোকার আগে বুধবার রাতে শীতলা, কাঞ্চনপুর, দেজুড়ি ইত্যাদি গ্রামে ধান ও সব্জি খেতে ব্যাপক ক্ষতি করে। বড়জোড়া রেঞ্জ অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখান ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। বড়জোড়ার রেঞ্জ অফিসার সৌমেন মণ্ডল বলেন, “সদ্য ময়ূরঝর্ণার দল চলে যেতেই, ফের এসে হাজির দলমা বাহিনী। এ বার সময়ে জলের অভাবে চাষ ভাল হয়নি। অল্প চাষেও হাতির দল যদি ক্ষতি করে, তাহলে ক্ষতিগ্রস্তদের কী সান্ত্বনা দেব?” অন্য দিকে, দিনকয়েক বাঁকাদহের বাসিন্দাদের অতিষ্ঠ করে এ দিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতামুখী হল ময়ূরঝর্ণার ২৫টি হাতি। মঙ্গলবার রাতে গ্রামবাসীদের তাড়ায় হাতির পালটি বাঁকাদহ ছেড়ে গড়বেতায় ঢোকে। ওই রেঞ্জের আধিকারিক বিজয় চক্রবর্তী বলেন, “আপাত স্বস্তি মিললে আমাদের কাছে খবর এসেছে দলমা থেকে আরও প্রায় ২০টি হাতির দল বাঁকাদহের কাছে এসেছে। সব মিলিয়ে চিন্তামুক্ত হওয়া যাচ্ছে না।”

ফলের চারা বিলি
মহত্মা গাঁধী জাতীয় কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্পের (১০০ দিনের কাজ) অধীনে দুবরাজপুর ব্লকের বেশ কিছু মহিলা স্বনির্ভর দলের প্রত্যেক সদস্যকে তিনটি করে ফলের চারা বিলি করা হল বুধবার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রকল্পের আওতায় বিগত বছরগুলিতে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত মারফৎ ফলের চারা লাগানো হলেও ফল আশাব্যঞ্জক নয়। কারণ, চারাগাছগুলি রক্ষণাবেক্ষণের আভাবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু সেই ফলের চারাগুলিই যদি মহিলা স্বনির্ভর দলের সদস্যদের মাধ্যমে লাগানো হয় তাহলে সদস্যপিছু তিনটি ফলের চারার দেখভাল অনেক ভালোভাবে সম্ভব এবং বছর তিন-চার পর সেই ফলের গাছ থেকে ফলও পাবেন ওই মহিলা সদস্যারা। মূলত এই ভাবনা থেকেই এ বার জেলার বিভিন্ন ব্লকে একই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দুবরাজপুর ব্লক সূত্রে খবর, ব্লকের মোট ৫৫২টি মহিলা স্বনির্ভর দলের সদস্যদের কাছে এই ফলের চারা বিলি করার কথা জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে এ দিন বিভিন্ন স্বনির্ভর দলের প্রায় শ-পাঁচেক মহিলা চারা নিয়েছেন। দুবরাজপুরের যুগ্ম বিডিও মানিক সিংহ মহাপাত্র বলেন, “২০ হাজার চারা বিলির লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। আগামী আরও দুদিন ফলের চারা বিলি হবে।”

জঞ্জাল সমস্যার অস্থায়ী সমাধান
সর্বদল বৈঠকে আলিপুরদুয়ারে ডাম্পিং গ্রাউন্ড সমস্যার অস্থায়ী সমাধান হল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সার্কিট হাউসে শহরের জঞ্জাল ফেলার সমস্যা নিয়ে ওই বৈঠক হয়। আপাতত শহরের একটি ওয়ার্ডে অস্থায়ী ভাবে ময়লা ফেলা হবে। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জায়গা না থাকায় মাস দুয়েক আগে শহরের সাফাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় আলিপুরদুয়ার পুরসভা। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ময়লা স্তূপ জমে যায়। জেলা সদর হতে যাওয়া আলিপুরদুয়ারের এই সমস্যার সমাধান করতে সর্বদল বৈঠক ডাকেন মহকুমা শাসক। মহকুমা শাসক অমলকান্তি রায় বলেন, “মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পুরসভার ২৭ বিঘে জমিতে সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প গড়ে উঠবে। এরজন্য সময় প্রয়োজন। এদিন সমস্ত রাজনৈতিক দল মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপাতত পুরসভার এলাকার মধ্যে একটি নিচু জায়গায় ময়লা ফেলা হবে। পরবর্তীতে জায়গাটি ভরাট হলে সেখানে অফিস তৈরি করা হবে।” স্থানীয় বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় বলেন, “বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কোচবিহার পুরসভার সঙ্গে কথা বলে জঞ্জাল পুড়িয়ে বিদ্যুৎ তৈরির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আপাতত শহরে একটি ওয়ার্ডে অস্থায়ী ভাবে জঞ্জাল ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সিপিএম, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সবাই যে ওয়ার্ডে ময়লা ফেলা হবে, সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করার পক্ষে মত দেন। পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, এর আগে সমস্যা নিয়ে নাগরিক কনভেশন হয়েছিল। সর্বদল বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার জট খোলায় দীর্ঘ দিনের ডাম্পিং গ্রাউন্ড সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।

সাফাই নিয়ে সরব
পুরসভায় সাফাই ও নিকাশির চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে আসানসোলে এ বার বিরোধীদের সঙ্গে গলা মেলালেন শাসক পক্ষের কিছু কাউন্সিলরও। বুধবার পুরসভার বোর্ডসভায় তাঁর এলাকায় নিকাশি ও সাফাই ঠিক মতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস কাউন্সিলর শিবদাস চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট ও নিকাশির শোচনীয় অবস্থায় এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। তিনি মেয়রকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান। আসানসোল বাজার এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর ঊমা সরাফ অভিযোগ করেন, তাঁর এলাকার ফুটপাথ সাফাই হয় না। নর্দমাগুলির অবস্থাও খারাপ। বিরোধী কাউন্সিলরদের পক্ষে বিরোধী নেতা সিপিএমের তাপস রায় সামগ্রিক ভাবে পুর এলাকার নিকাশি ও সাফাই ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন। মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

গাছ কাটা নিয়ে বিতর্ক ছাতনায়
বন দফতরের অনুমতি না নিয়ে স্কুলের কয়েকটি গাছ কাটার অভিযোগ উঠল ছাতনার বাসুলি বালিকা বাণীপীঠ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে বন দফতর কাটা গাছগুলি আটক করে। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রিতা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “বিক্রি করার জন্য নয়। স্কুলের নতুন ঘর তৈরির জন্য ওই জায়গার দরকার ছিল।” তাঁর দাবি, গাছ কাটার জন্য বন দফতরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করলেও প্রক্রিয়াগত কিছু ত্রুটির জন্য তা ওঁদের কাছে পৌঁছয়নি।’’ ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) এস কুলান ডেইভাল বলেন, “বন দফতরকে না জানিয়ে গাছ কাটা অপরাধ। ঘটনার তদন্ত চলছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সর্পাঘাতে মৃত্যু
সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বালকের। নাম অভি শেখ (৪)। বাড়ি কান্দি থানার বাগানপাড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বালক খড়গ্রামের মহিষা গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে। বুধবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে সাপ ছোবল দেয়। ওই রাতেই তাকে খড়গ্রাম ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার সকালে ওই বালক মারা যায়।

কালচিনিতে রাতভর হাতির দলের হামলা
রাতভর দফায় দফায় হাতির পাল তান্ডব চালাচল কালচিনি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়। বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর অবধি হাতির পালের তান্ডবে ২২টি ঘরের ক্ষতি হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পানার রেঞ্জ অফিসার ভবেন ঋষি জানান, পানা রেঞ্জের জঙ্গল থেকে ৩০-৪০ টি হাতির একটি দল বার হয়। বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত দলটি চিনচুলা চা বাগান এলাকায় ৮টি ঘর ভাঙে। বন কর্মীরা দলটিকে জঙ্গলে ঢোকায়। অন্যদিকে, ভাটপাড়া চা বাগান এলাকায় তিনটি হাতির একটি দল ৫টি ঘর ভাঙে। রাত এগারোটা থেকে ফের কালচিনি চা বাগানের বাজার এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় একটি হাতি। সেটি ৯টি ঘর ভাঙে। পরে হাতিটিকে ভোর পাঁচটা নাগাদ জঙ্গলে ফেরৎ পাঠানো হয়। রেঞ্জার বলেন, “হাতি তাড়াতে পর্যাপ্ত পটকা ও সার্চ লাইট দেওয়ার বিষয়ে বন কর্তাদের জানানো হয়।”

গুলি বিনিময়
সাইকেলে চোরাই কাঠ পাচারের সময় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হল বন কর্মীদের। বুধবার রাত ৩টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মহানন্দা অভয়ারণ্যের সুকনা রেঞ্জের গুলমা বিটের কাছে। দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হওয়ার পর দুষ্কৃতীরা মহানন্দা নদীতে সাইকেল ও কাঠ ফেলে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে নদী থেকে ১৩টি সাইকেল ও বেশ কিছু শাল কাঠের লগ উদ্ধার করেন বন কর্মীরা। সুকনার রেঞ্জ অফিসার বাদল দেবনাথ জানান, বন কর্মীরা রাইফেল থেকে শূন্যে ২ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করেছেন বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, “বন কর্মীরা রাতে যখন টহলদারি করছিলেন সে সময় ঘটনাটি ঘটে। দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় প্রায় ৪০ জন ছিল। তারা সশস্ত্র অবস্থায় থাকায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।”

চিতাবাঘের মৃত্যু
চা বাগানে চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার নাগরাকাটা লাগোয়া বামনডাঙা চা বাগানের ৭ ও ১০ সেকশনের মাঝে চা শ্রমিকরা চিতাবাঘটির মৃতদেহ দেখতে পেয়ে বনকর্মীদের খবর দেন। চিতাবাঘটির বেশ কয়েকটি দাঁতও পড়ে গিয়েছে।

সাপের ছোবলে মৃত্যু প্রৌঢ়ের
ধান খেত দেখতে গিয়ে সর্পাঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম উত্তম রায় (৫০)। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গোঘাট থানা এলাকার ইন্দিরা গ্রামে।

বাইসনের গুঁতো
প্রার্তভ্রমণে বেরিয়েছিলেন চা-বাগানের মালিক যুবরাজ সিংহ। হঠাৎ তেড়ে আসে তিনটে বাইসন। তাদেরই ঠেলায় খাদে পড়ে মারা গেলেন তিনি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.