মুরগি মরছে, ক্ষতি হচ্ছে চাষিদের। অথচ সব জেনেও নির্বিকার প্রশাসন। এই অভিযোগ তুলে বাদুড়িয়া ব্লকের প্রাণিসম্পদ বিকাশ এবং বিডিও-র দফতরের সামনে মরা মুরগি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ব্যবসায়ীরা। ওই দফতরের আধিকারিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরের এই ঘটনায় প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের সামনের রাস্তা বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ থাকে। এ দিকে, বিডিও এবং প্রাণিসম্পদ দফতরের মৃত মুরগির সংখ্যার ফারাক দেখা দেওয়ায় চাষিদের ক্ষোভ বাড়ে। শেষে বাদুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আব্দুল হামিদ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। |
বাদুড়িয়ার বিডিও কার্তিক মণ্ডল বলেন, “৪০ হাজার মুরগির অজানা রোগে মৃত্যু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে জানানো হয়েছে। অধিকাংশ ফার্মেরই কোনও রেজিষ্ট্রেশন নেই। মৃত মুরগি মাটিতে পুঁতে দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত প্রধানদের বলা হয়েছে।” যদিও এমন কোনও নির্দেশ পাননি বলে জানান যদুরহাটি দক্ষিণ পঞ্চায়েতের প্রধান কাজি আব্দুল রসিদ। তাঁর কথায়, “বিডিও-র পক্ষ থেকে এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ আমাদের কাছে আসেনি।”
প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের আধিকারিক গৌতম দেব বলেন, “যে ভাবে রোগ ছড়াচ্ছে এবং মুরগি মারা যাচ্ছে তা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। লক্ষাধিক মুরগির মৃত্যু হয়েছে। এই মরা মুরগি বাইরে নিয়ে যাওয়া না হয় এবং বাজারে এর বিক্রি যাতে বন্ধ হয় সে জন্য বিডিওকে বলা হয়েছে। কোনও রকম জীবাণু যাতে না ছড়ায় সে জন্য ফার্মের ময়লা পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, শীঘ্রই মধ্যেই মুরগি-মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।”
বাদুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, “ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে মরা মুরগি যাতে বাইরে বিক্রি না হতে পারে সে জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে মাইকে প্রচার শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য-সহ অন্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আলোচনা করা হচ্ছে।” যদিও এ দিন বাদুড়িয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রচার কিংবা জীবাণু প্রতিষেধক ছড়ানো দেখা যায়নি। বেশ কয়েকটি এলাকায় দেশি মুরগি এবং পায়রা মৃত্যুর খবর মিলেছে। বাজারে মরা মুরগি বিক্রি হতেও দেখা গিয়েছে। |