|
|
|
|
মেয়েদের অপুষ্টি নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে মোদী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ফের বিতর্কের কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী। এ বার রাজনীতি নয়, মেয়েদের অপুষ্টি নিয়ে মন্তব্য করে।
সরকারি তথ্য বলছে, ২০০৫-২০০৬ সালে গুজরাতের পাঁচ বছরের কম বয়সী ৫২ শতাংশ শিশু অপুষ্টির শিকার। রক্তাল্পতার সমস্যাও ভয়ঙ্কর। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের মধ্যে। রাজ্যে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ৭০ শতাংশই রক্তাল্পতায় ভুগছে। একই সমস্যা ৫৫ শতাংশ গুজরাতি মহিলার।
গুজরাতকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেওয়ার দাবি করা মোদীর পক্ষে এই সব তথ্য যে ঘোরতর অস্বস্তিকর তাতে সন্দেহ নেই। সেই কারণে মার্কিন দৈনিক ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে নিজের মতো করে এই সমস্যার ব্যাখ্যা দিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। দোষ চাপিয়েছেন তাঁর রাজ্যের মহিলাদের খাদ্যাভ্যাস ও মানসিকতার উপরে।
মোদীর যুক্তি, গুজরাতে মহিলাদের অপুষ্টির মূল কারণ দু’টি। প্রথমত, নিরামিষ খাওয়ার অভ্যাস। দ্বিতীয়ত, মধ্যবিত্তসুলভ সৌন্দর্যচেতনা। মোদীর কথায়, “এখন মধ্যবিত্তরা শরীর সচেতন না-হয়ে সৌন্দর্য সচেতন। মায়েরা মেয়েকে এক গ্লাস দুধ খেতে বললে সে মুখের উপর বলছে, দুধ খেলে মোটা হয়ে যাবে!”
মোদীর এই মন্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পরেই সমালোচনায় মুখর হয়েছে তাঁর বিরোধী শিবির। পাঁচ বছর বা তার কম বয়সী মেয়েদের মধ্যে সৌন্দর্য-সচেতনতা কতটা থাকে, এই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি, দারিদ্রই পূর্ণ বয়স্ক মহিলাদের অপুষ্টির কারণ বলে তাঁদের দাবি।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অম্বিকা সোনির মন্তব্য, “গুজরাতের যে সব মা পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে অভুক্ত থাকেন, তাঁদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কোনও সহানুভূতিই নেই।” আর কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী কৃষ্ণা তিরথের মতে, মোদীর মন্তব্যে ‘বোধবুদ্ধির অভাব’ রয়েছে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী সমর্থনে এগিয়ে এসে বিজেপি নেতারা অবশ্য গোটা বিতর্কের জন্য কংগ্রেসের ‘মোদী-ভীতি’কেই দায়ী করছেন। দলের মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, “তেমন দরিদ্র নন এমন মহিলাদের রক্তাল্পতা নিয়ে চিকিৎসক সমাজে আলোচনা চলছে। তাঁরা বিভিন্ন কারণের কথা বলছেন। আর কংগ্রেস মোদীর নাম শুনেই সমালোচনায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে।” |
|
|
|
|
|