টাটা গ্লোবাল বেভারেজেস-এর বার্ষিক সভায় যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় এলেন টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার রতন টাটা। সঙ্গী তাঁর উত্তরসূরি সাইরাস পালোনজি মিস্ত্রি ও টাটা গ্লোবাল বেভারেজেস-এর অন্যতম কর্তা কৃষ্ণকুমার।এ দিনই রাতে রাজভবনে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণের সঙ্গে নৈশভোজে সারেন রতন টাটা ও সাইরাস মিস্ত্রি।
টাটা গ্লোবাল বেভারেজেস-এর সদর দফতর কলকাতায়। সেই সূত্রে সংস্থাটির বার্ষিক সভায় যোগ দিতে প্রতিবারই কলকাতায় আসেন রতন টাটা। এ বারও তাঁর অন্যথা হয়নি। শুধু এ বার তাঁর সফরের বিশেষত্ব হল, টাটা গ্লোবাল বেভারেজেস-এর চেয়ারম্যান হিসেবে এটাই তাঁর শেষ বার্ষিক সভা। কারণ এ বছরের শেষেই টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার হিসেবে অবসর নেবেন তিনি। সংস্থা সূত্রের খবর, আজ, ওই সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে টাটা গ্লোবাল বেভারেজেস-এর ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার কথা সাইরাসের। |
রাজভবনের সামনে রতন টাটা ও সাইরাস মিস্ত্রি। —নিজস্ব চিত্র |
এ দিন সন্ধ্যায় শহরে পৌঁছনোর পরে হোটেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ৮,০০০ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যবসা করা টাটা সাম্রাজ্যের কর্ণধার। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? জবাবে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। তেমনই আদালতের বাইরে সিঙ্গুর বিতর্ক মিটিয়ে নেওয়ার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে কি না, এই প্রশ্ন টাটার কাছে পুরোপুরি পেশ করার আগেই নিরাপত্তারক্ষীরা সাংবাদিকদের সরিয়ে দেন।
এ দিন রাতে রাজভবনে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণের সঙ্গে নৈশভোজে সারেন রতন টাটা ও সাইরাস মিস্ত্রি। গত বছরেও রাজপ্যালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রতন টাটা। তবে এ বারের বৈঠকের তাৎপর্য আলাদা। বিশেষজ্ঞদের মতে, টাটা গোষ্ঠীর উত্তরসূরি হিসেবে রাজ্যপালের সঙ্গে সাইরাসের আলাপ করিয়ে দেওয়াই ওই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। ঠিক যে ভাবে এ বছরের গোড়ায় দিল্লিতে ‘অটো-এক্সপো’-তে প্রথম প্রকাশ্যে সকলের সঙ্গে সাইরাসকে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন রতন টাটা নিজেই।
রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা এ দিন সন্ধ্যায় হোটেলের লবিতে দাঁড়িয়ে নিজেই স্বীকার করেন টাটা। কোনও বিশেষ কারণ আছে কি? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সন্ধ্যাটি বড় সুন্দর। আপনারাও উপভোগ করুন।” এরপরই সঙ্গীদের নিয়ে রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। |