নেই বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য পরিষেবা। চলাচলের মতো যে রাস্তা রয়েছে সেটাও কাঁচা ভাঙাচোরা। মেলে না পরিস্রুত পানীয় জল। নেই রাজ্য নামে পরিচিত ছিটমহল এলাকায় অভাবের তালিকা আরও দীর্ঘ। যদিও ওই সমস্ত সমস্যা নিয়ে সরকারের কাছে স্পষ্ট তথ্য নেই। তথ্যগত ওই সমস্যার সমাধানের জন্য ভারত ভূখণ্ড ঘেরা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলে সমীক্ষা চালায় ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি। সোমবার কমিটির তরফে কোচবিহার জেলা প্রশাসনের হাতে ওই সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়। কমিটির সহকারী সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সীমান্ত গ্রুপ ও প্রশাসনের তরফে ছিটমহলের পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে আমাদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়। কাজের সুবিধার জন্য প্রায় দু’মাস ধরে করা সমীক্ষার রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।” ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থার ২২০ জন সদস্য গত জুন মাসের শুরুতে সমীক্ষার কাজ শুরু করেন। অগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে তা শেষ হয়। |
কাজের সুবিধার জন্য কোচবিহার জেলা লাগোয়া কামাত, পূর্ব ও দক্ষিণ মশালডাঙ্গা, বাকালিরছড়া, পোয়াতেরকুঠি, করলা, শিবপ্রসাদমুস্তাফি, নলগ্রাম, ফলনাপুর, জংরা, ছাটকুচলিবাড়ি, বালাপুখরি, মৃগীপুর সহ বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলকে ২১টি এলাকায় ভাগ করা হয়। দেখা গিয়েছে এলাকাগুলিতে যোগাযোগের ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই। সেখানে ৮, ১৬ এবং ২০ ফুট চওড়া মোট ৪০ হাজার ৫৬৬ ফুট, ৩২ হাজার ৩৯৫ ফুট এবং ২৩ হাজার ৫৫ ফুট রাস্তা তৈরি করা দরকার। বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য কোথায় খুঁটি বসবে, কতদূর লাইন টেনে নেওয়া জরুরি সেটাও সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫০০ মিটার এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রয়োজন। এছাড়াও ৯টি সেতু, ৩৪টি বড় কালভার্ট, ১২৯টি ছোট কালভার্ট, ১১ হাজার ৯৪৫ মিটার গার্ডওয়াল, ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৮টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি করা প্রয়োজন। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “ছিটমহলের পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে কমিটির সমীক্ষা রিপোর্ট পেয়েছি। স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।” |