বেদখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারের পাশাপাশি নতুন প্রকল্পের জন্য সরাসরি জমি কিনবে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ)। সোমবার দুপুরে সংস্থার বোর্ড মিটিঙে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরজন্য বোর্ড মিটিং চলাকালীন এ দিনই ‘ল্যান্ড পারচেজ অ্যান্ড ল্যান্ড রিকভরি’ নামের একটি কমিটি গড়া হয়। তাতে এসজেডিএ-র বোর্ড সদস্যরা ছাড়াও সংস্থার আধিকারিকেরা থাকবেন। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই ওই কমিটি কাজ শুরু করে দেবে। সে সঙ্গে এসজেডিএ এলাকার জন্য একটি ‘ল্যান্ড ম্যাপ’ তৈরি করা হবে। যা ভবিষ্যতে সংস্থার ওয়েবসাইট মারফত শিল্পদ্যোগী বা জমি কিনতে ইচ্ছুক বাসিন্দারা একঝলক দেখে নিতে পারবেন।
সংস্থার চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “শহর ও লাগোয়া নানা এলাকায় সংস্থার বেশ কিছু জমি বেদখল হয়ে গিয়েছে। সেগুলি উদ্ধার করা দরকার। পাশাপাশি, মানুষের প্রয়োজনে নানা প্রকল্প ছাড়াও ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের জন্য জমি প্রয়োজন। সেগুলি চিহ্নিত করে বাসিন্দাদের কাছে তা কেনা হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হবে।” রুদ্রবাবু জানান, ল্যান্ড ম্যাপ করে ওয়েবসাইটে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করা হচ্ছে। এসজেডিএ সূত্রের খবর, ফুলবাড়ি, চয়নপাড়া, চম্পাসারি-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এসজেডিএ-র জমি দখল হয়ে রয়েছে বলে সংস্থার আধিকারিকেরা বৈঠকে জানান। সেগুলি উদ্ধার করতে পারলে ছোট ছোট আবাসন, অতিথি নিবাস, স্কুল, সুলভ শৌচালয়ের মত প্রকল্প হতে পারে। শহর এলাকায় ফাঁকা জমি পরিমাণ শেষ হয়ে আসায় মাটিগাড়া, রাজগঞ্জ এলাকায় জমির সন্ধান শুরু করা হয়েছে। সেখানে একই ধরনের প্রকল্প ছাড়া ছোট-মাঝারি বা কুটির শিল্পের জন্য জমি ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এ দিন তৈরি হওয়া কমিটিতে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি এবং রাজগঞ্জের বিধায়কদের রাখা হয়েছে।
পুজোর মুখে শিলিগুড়ির রাস্তাঘাট সংস্কারের জন্য বৈঠকে পুরসভাকে ৩ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই ভাবে বিধান মার্কেট মাছ বাজার এলাকার ‘স্লটার হাউস’, সুলভ শৌচালয় এবং দার্জিলিং মোড়ে মহিলাদের জন্য আধুনিক শৌচালয় তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। উত্তরের ছ’জেলা ছাড়াও সিকিম, নেপাল, ভুটান, বিহার থেকে বহু মানুষ রোজ শিলিগুড়িতে আসেন। তাঁদের জন্য কাওয়াখালিতে ১০০ ঘর বিশিষ্ট অতিথি নিবাস তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। কাওয়াখালি-পোড়াঝাড় এলাকায় জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত প্যাকেজ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি কমিটি গড়া হয়েছে। এলাকার ৭৫ একর জমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত ‘ফিল্ম সিটি’র জন্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরের সৌন্দর্য্যকরণ, বাইপাস এলাকার আবাসন প্রকল্পও হাতে নেবে সংস্থা। শিলিগুড়ির হিমাঞ্চল বিহারে ‘রক ক্লাইম্বিং’ সার্কিট ও হিলকার্ট রোডে আধুনিক ‘ফুটব্রিজ’ তৈরির সিদ্ধান্ত এ দিন সংস্থার ১১৪-তম বোর্ড মিটিঙে নেওয়া হয়েছে। |