রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পরে ডিওয়াইএফআইয়ের আন্দোলন থমকে দাঁড়িয়েছে এবং সংগঠনের সদস্যসংখ্যা কমছেএমন প্রচার ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি প্রতিম ঘোষ। সংগঠনের ১৬ তম রাজ্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের শেষে বাঁকুড়ায় প্রতিমবাবু বলেন, “গোটা রাজ্যে তৃণমূলের সন্ত্রাসের মুখে পড়েও আমাদের আন্দোলন থেমে নেই।” তথ্য বলছে, ২০০৮ সালে সিপিএমের যুব সংগঠনের সদস্যসংখ্যা ছিল ৯৮ লক্ষ। ২০১১ সালে তা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৫৭ লক্ষে। প্রতিমবাবুর বক্তব্য, “তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে আমরা সব জায়গায় পৌঁছতে পারছি না। তবে আমরা নিশ্চিত, আমাদের সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।”
|
দুই সহপাঠীকে শাস্তি দেওয়ার প্রতিবাদে ক্লাস বয়কট করল পুরুলিয়া শহরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা। সোমবারের ঘটনা। শনিবার দশম শ্রেণির (সেকশন বি) দুই ছাত্রকে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই দুই ছাত্রের দাবি, “শুক্রবার টিফিনের পরে শিক্ষিকা ক্লাসে এসে দেখেন তার চেয়ারে ‘চিউয়িংগাম’ আটকানো রয়েছে। আমরা কিছুই জানি না। অথচ ওই অপরাধে আমাদের দোষী সাব্যস্ত করে সাসপেন্ড করা হল।” শাস্তিপ্রাপ্ত এক ছাত্রের বাবা বলেন, “ছেলেকে প্রথমে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। আমি স্কুল কর্তৃপক্ষকে ছেলের অপরাধ প্রমাণের বিষয়ে প্রশ্ন করার পরে তা এক মাস করা হয়েছে।” এরই প্রতিবাদে সোমবার ক্লাস বয়কট করেন পড়ুয়ারা। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
|
মানভূম কলেজের প্রথম বর্ষের নিখোঁজ ছাত্র বচন বাউরির দেহ উদ্ধার হল জঙ্গলে। মানবাজারের সিন্দুরপুর গ্রামের বাসিন্দা লক্ষন বাউরি গত সোমবার পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরিতে জানিয়েছিলেন, ১৯ আগস্ট সকালে তাঁর ছেলে বচন পাড়ায় ঘুরতে বেরিয়েছিল। তার পর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। রবিবার সিন্দুরপুর গ্রাম লাগোয়া লেওয়াগড়া জঙ্গলে বাসিন্দারা একটি পচে যাওয়া দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। সেটাই বচনের বলে শনাক্ত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বচনের দেহের পাশে একটি দড়ি মিলেছে। আত্মহত্যা না খুন, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
|
রঘুনাথপুর এলাকায় শিল্প স্থাপনের কর্মকাণ্ড রাজ্যে নতুন সরকার আসার পরেও গতি পাচ্ছে না এবং রঘুনাথপুরে শিল্পতালুক হওয়ার সম্ভবনা নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল এসইউসি-র শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি। সম্প্রতি রঘুনাথপুর শহরে চতুর্থ পুরুলিয়া জেলা সম্মেলন হয়েছে ওই শ্রমিক সংগঠনের। প্রকাশ্য সমাবেশ হয় হাসপাতাল ময়দানে। প্রতিনিধি অধিবেশন হয়েছে জি ডি ল্যাং হাইস্কুলে।
|
বিডিও-র কাছে ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে অত্যাচারের নালিশ করলেন প্রভাবতী চক্রবর্তী নামে তালড্যাংরার রাধামোহনপুর গ্রামের ওই বৃদ্ধা। সোমবারের ঘটনা। ঘটনার দিন তাঁকে ব্লক অফিস চত্বরে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর ডান পায়ে শিকল বাঁধা ছিল। বিডিও সুমন দাশগুপ্ত বলেন, “ওই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি পেনশন পেতেন। সেই পেনশনের টাকা তাঁর ছেলে নিয়ে নিত। ছেলে ও বৌমা তাঁকে ঘরের ভিতরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখত।” |