পার্কিংয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই, সরু রাস্তায় দুর্ঘটনা বাড়ছে কৃষ্ণনগরে
হু প্রাচীন রাজ-রাজড়াদের শহর কৃষ্ণনগরের নকশাতে পরিকল্পনার কোনও ছাপই নেই। পুরোপুরি অপরিকল্পিত ভাবে এই শহরের বেড়ে ওঠা। জেলা সদর হওয়া সত্ত্বেও শহরের কোথাও গাড়ি পার্কিংয়ের কোনও ব্যবস্থা নেই। অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে ওঠা রাস্তাগুলিও বড্ড সংকীণর্। আর এই সংকীর্ণ রাস্তার ধারেই বিপজ্জনকভাবে দাঁড়িয়ে থাকে মোটর বাইক থেকে শুরু করে চার চাকার যান। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটে হামেশাই। জেলা প্রশাসনের অবশ্য সমস্যার স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে কোনও হেলদোলই নেই। ক্ষুব্ধ শহরবাসীর অভিযোগ, কৃষ্ণনগর একটি গুরুত্বপূর্ন জেলা সদর। প্রথম সারির প্রশাসনিক আধিকারিকদের বেশিরভাগেরই বাস এই শহরে। তাঁদেরও নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তবুও শহরের বেহাল দশা ঘোচে না। শহরের বাসিন্দা প্রমথ সরকার বলেন,“এর প্রকার জীবন হাতে নিয়েই রাস্তায় চলাচল করতে হয়। একে অপ্রশস্থ রাস্তা। তার উপর পথ দখল করে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ছোটো- বড় গাড়ি। মোটর সাইকেল। সাইকেল এমনকি রিক্সাও।” তিনি আরও বলেন,“বিশেষ করে অফিস টাইমে ও সন্ধ্যার সময় পোস্ট অফিসের মোড় চত্বরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। এর প্রধান কারণ হল রাস্তা দখল করে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকা।”
রাস্তা জুড়ে পার্কিং। —নিজস্ব চিত্র।
চ্যালেঞ্জ মোড় থেকে রাজবাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রোড। পোস্ট অফিসের মোড় থেকে সদর মোড় পর্যন্ত চলে গিয়েছে মনমোহন ঘোষ রোড। সদর হাসপাতাল থেকে স্টেশন অব্দি ডিএল রায় রোড। গুরুত্বপূর্ন এই সব রাস্তা গুলিই অত্যন্ত সংকীর্ন। প্রতিটি রাস্তা দিয়েই বাস চলাচল করে। শহরের বাসিন্দা স্বদেশ রায় বলেন,“এই রাস্তাগুলিতে দোকানের সামনে এমন ভাবে গাড়ি বা মোটর বাইক রাখা থাকে যে বাস গেলে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়ানোর জায়গাটুকু পর্যন্ত থাকে না। ফলে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে।”
দুর্গাপুজো, কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছয়। বড়দিনেও শহরের চার্চে প্রচুর জনসমাগম হয়। এই সময় মানুষের রাস্তা দিয়ে চলাচল করাই দায় হয়ে পড়ে। কৃষ্ণনগর পুরসভা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। কংগ্রেস পুর প্রধান অসীম সাহা বলেন,“কার পার্কিং করার ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। রাস্তার উপরেই অনেক সময় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। এতে করে দুর্ঘটনাও ঘটে। নতুন বাস স্ট্যান্ডের পিছনে অনেকটা ফাঁকা জায়গা রয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে আমরা সেখানে একটি স্থায়ী কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারি। তবে তা না করা অব্দি বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।” অতিরিক্ত জেলা শাসক অরবিন্দ ঘোষ বলেন,“পুরসভা চাইলে এ ব্যাপারে আমরা সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.