নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চাঁদা না দেওয়ায় দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বকে জানানোর পরেও কোনও সুফল মেলেনি বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ঘটল মেদিনীপুর শহর ঘেঁষা হোসনাবাদের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে। ওই ব্যবসায়ী অরুণ ঘোষের অভিযোগ, “একদল ছেলে নিজেদের তৃণমূল নেতা বলে দাবি করে যখন তখন চাঁদা চাইতে আসে। কখনও সমাবেশে যাওয়ার জন্য বাস ভাড়ার টাকা, কখনও শহিদ দিবসের চাঁদা। এবার স্বাধীনতা দিবসে ১৫টি শাড়ি দেওয়ার দাবি জানায়। আমি ৫০০ টাকা দিতে চাইলে টাকা না নিয়ে ফিরে যায়। রবিবার হঠাৎ দোকানে এসে জোর করে দোকান বন্ধ করে দেয়।” এরপর অরুণবাবু বিষয়টি ব্যবসায়ী সমিতিকে জানান। জানানো হয় তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়কেও। দীনেনবাবু দোকান খোলার কথা জানান। তাঁরই পরামর্শে সোমবার দোকান খুলতে গেলে ফের জোর করে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অরুণবাবুর অভিযোগ, “জনা পঁচিশেক ছেলে দোকানের সামনে হাজির হয়ে বলে আগে পার্টি অফিসে চলুন। আলোচনার পরে দোকান খুলবেন। তার আগে দোকান খুলতে দেব না।” |
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মলয় রায় বলেন, “একটি দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য তৃণমূল নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “কয়েকজন যুবক এই ধরনের কাজ করেছে বলে অভিযোগ এসেছিল। তাঁদের সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই। তবু আমরা বলেছি, কেউই জোর করে এমন কাজ করতে পারবেন না। আমাদের দলের তো কেউ করতেই পারবেন না। তাই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকেও জানিয়েছি, যাতে তাঁকে সাহায্য করেন।”
হোসনাবাদের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি সংস্থার টায়ার বিক্রির দোকান রয়েছে অরুণবাবুর। বছরখানে হল দোকান করেছেন তিনি। অরুণবাবু আবার টানা চার বারের বাম বিধায়ক কামাখ্যা ঘোষের ছেলে। তাঁর কথায়, “দীর্ঘদিন বাবাকে রাজনীতি করতে দেখেছি। কিন্তু কখনও এমন রাজনীতি করতে দেখিনি। এখন প্রতিটি ক্ষেত্রেই চাঁদার জুলুম চলছে। চাঁদার পরিমাণ এতটাই বেশি দাবি করা হচ্ছে যে তা দেওয়া একেবারেই অসম্ভব।” তৃণমূল নেতৃত্বের পাশাপাশি কোতয়ালি থানাতেও সোমবার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। |