মালবাজারের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের সাওগাঁও বস্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজ্যে এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড় সাফল্য পেল বন বিভাগ। বৈকন্ঠপুর ডিভিশনের নেতৃত্বে এই অভিযানে মোট ২টি লরি ও ৮ টি পিক আপ ভ্যান ভর্তি চেরাই শাল ও সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “যা রিপোর্ট আমি পেয়েছি তা রাজ্যে নতুন সরকার গঠন হওয়ার পরে এটি রেকর্ড। মোট কত টাকার কাঠ উদ্ধার হয়েছে তার হিসেব এখনও চলছে। বন দফতরের কর্মী আধিকারিকদের পাশাপাশি পুলিশকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।” বন বিভাগের একটি সূত্রের দাবি, ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের কাঠ উদ্ধার হয়েছে। উত্তরবঙ্গের প্রধান বনপাল রাজকুমার মাহাতোলিয়া বলেন, “উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর বাজার মূল্য জানাতে সময় লাগবে। তবে সবই প্রমাণ আকারের সেগুন ও শাল কাঠ। যার বাজার মূল্য এককথায় অপরিসীম।” গত শনিবার ২৫ অগস্ট ওই এলাকাতে অভিযান চালাতে গিয়ে স্থানীয় কাঠ পাচারকারীদের আক্রমণের মুখে পড়েন বনকর্মীরা। ঢিলের আঘাতে ৩ বনকর্মী গুরুতর জখম হন। |
বন দফতরের গাড়িতেও আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়। সেদিন আটক করা সমস্ত কাঠও স্থানীয় কাঠ পাচারকারীরা লুঠ করে নেয়। এর পরেই সাওগাঁও বস্তীতে অভিযান সফল করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয় বন বিভাগ। বনমন্ত্রী নিজেও বিশদে খোঁজখবর নিয়ে স্পষ্ট কিছু নিুর্দেশ দেন। সোমবার সকাল থেকেই মালবাজার, মেটেলি, নাগরাকাটা ও জলপাইগুড়ির বিরাট বাহিনী নিয়ে তিন থানার ওসি, সার্কেল ইন্সপেক্টর সমেত মালবাজারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অরিন্দম সরকার ঘটনাস্থলে যান। ৭০ জন বনকর্মী উপস্থিত হন। পুলিশের সংখ্যা ছিল শতাধিক। বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের ডিএফও ধর্মদেব রাই-এর নেতৃত্বে বনকর্মীরা সাওগাঁও এলাকার নিচ লাইন এলাকাতে অবৈধ কাঠ দিয়ে নির্মিত পুরো একটি দোতলা কাঠের বাড়ি ভেঙে ফেলেন। ওই ঘরটি থেকে কাঠ চেরাই এর সামগ্রীও উদ্ধার হয়। এর পরে মাটি খুঁড়ে আরও প্রচুর চেরাই কাঠ পাওয়া যায়। সবই শাল ও উন্নত মানের পাহাড়ের সেগুন কাঠ। প্রায় নির্মাণ শেষ হয়ে থাকা অবস্থায় প্রচুর খাটও এদিন উদ্ধার হয়েছে। তবে কাঠ চুরি ও পাচার চক্রের একজনকেও বন বিভাগ গ্রেফতার করতে পারেনি। |