নিজস্ব সংবাদদাতা • হিন্দমোটর |
মধ্যরাতে খোলা জানলা দিয়ে ঘুমন্ত এক মহিলার গায়ে কেরোসিন ঢেলে জ্বলন্ত দেশলাই কাঠি ফেলে দিল কে বা কারা। সঙ্গে গোলাপও!
পাশে শুয়ে থাকা স্বামী সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাটি টের পাওয়ায় তখনই আগুন নিভিয়ে দেন। তার মধ্যেই অবশ্য মহিলার কোমরের দিকের একাংশ পুড়ে যায়। দম্পতির চেঁচামেচিতে চলে আসেন প্রতিবেশীরা। রবিবার হুগলির হিন্দমোটরের নিউ স্টেশন রোড এলাকার ঘটনা। জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় নামে বছর আটচল্লিশের ওই মহিলাকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা ভুল বাড়িতে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তাদের লক্ষ্য ছিল অন্য কেউ। কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু
করেছে পুলিশ । তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, বিছানার চাদরে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া গিয়েছে।
জয়শ্রীদেবী বলেন, “কে এমন করল বুঝতে পারছি না। আমাদের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই! নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।” জয়শ্রীদেবীর স্বামী কৃষ্ণেন্দুবাবু কাস্টমস অফিসার। তাঁর অভিযোগ, রাতেই পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও পুলিশ আসেনি। সকালে ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কৃষ্ণেন্দুবাবু।
সরেজমিনে তদন্তে আসেন পুলিশ অফিসাররা। পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘অবনতি’র অভিযোগ তুলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে সিপিএমের গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। স্থানীয় মহিলাদের একটি সংগঠনও ওই বিক্ষোভে সামিল হয়। জেলা পুলিশের এক কর্তার অবশ্য দাবি, “ঘটনাটির খবর পাওয়া মাত্র রাতেই পুলিশের একটি ভ্যান হিন্দমোটরে যায়। কিন্তু পুলিশকর্মীরা হন্যে হয়ে ঘুরেও ওই বাড়িটি খুঁজে পাননি।” |