নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও মগরা |
এক নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার তদন্তে হুগলির মগরা থানার ভূমিকা জানতে চেয়ে ওসি-কে হলফনামা দিতে বলল হাইকোর্ট।
হুগলির দেবানন্দপুরের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী গত ১৮ জুন থেকে নিখোঁজ। পরের দিন মগরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মেয়েটির বাবা। ২১ জুন এফআইআর করেন। তার পরে জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে মেয়েকে খুঁজে দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে তাঁর অভিযোগ। ওই ছাত্রীটির বাবা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, মেয়েকে ওড়িশায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তিনি খবর পেয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, এর পরে তাঁরই খরচে এবং ব্যবস্থাপনায় তদন্তে ওড়িশাও যায় পুলিশ। তবু মেয়েটির হদিস দিতে পারেনি তারা। এর পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মেয়েটির বাবা। ওই নাবালিকার নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে পুলিশি ভুমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত নির্দেশ দেন, পুলিশ ওই ঘটনায় কী পদক্ষেপ করেছে, তা ওসি-কে হলফনামা দিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে জানাতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে মেয়েটিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি। মেয়েটির বাবার আইনজীবী কমলেশ ঝা আদালতকে বলেন, “পুলিশ ন্যূনতম তদন্তও করেনি।” সরকার পক্ষের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ একটি সেলফোনের নম্বর পেয়ে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় তদন্তে গিয়েছিল।” আবেদনকারীর আইনজীবী তখন আদালতকে বলেন, পুলিশের এই বক্তব্য সত্য নয়। বিচারপতি এর পরেই ওসিকে হলফনামা দিয়ে কী কী তদন্ত হয়েছে, তা সবিস্তার জানাতে বলেন।
পুলিশের দাবি, বাড়ির গাড়ি চালকের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ রয়েছে মেয়েটির। আদিসপ্তগ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গেই সে কোথাও চলে গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই যুবকেরও খোঁজ নেই। মেয়েটির খোঁজে পুলিশের ৭-৮ জনের একটি দল দার্জিলিং, মাটিগাড়া, ভক্তিনগর, বিধাননগর-সহ নানা জায়গায় যায় বলেও জেলা পুলিশের দাবি। পাণ্ডুয়াতেও হানা দেয় তারা। কিন্তু মেয়েটির হদিস মেলেনি। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “বিষয়টি আদালতের বিচার্য। মন্তব্য করব না।” |