সন্দেহভাজন জঙ্গি ফাসি মহম্মদের প্রত্যর্পণ নিয়ে কেন্দ্রকে কোনও নির্দেশ দিতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে কেন্দ্রই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রের আইনজীবী জানিয়েছেন, মহম্মদ এখন সৌদি পুলিশের হেফাজতে।
বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলায় জড়িত মহম্মদকে দীর্ঘ দিন ধরেই খুঁজছে ভারত। আদতে বিহারের মধুবনী জেলার বাসিন্দা মহম্মদ ২০০৭ সালে সৌদি আরবে চলে যায় বলে সরকারি সূত্রে খবর। তার সঙ্গে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন ও লস্কর-ই-তইবার যোগ আছে বলে মনে করেন গোয়েন্দারা।
 |
ফাসি মহম্মদ |
দিল্লি পুলিশের মতে, ছাত্র সংগঠন সিমিকে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনে পরিণত করার অন্যতম কারিগর মহম্মদ। ছাত্র জীবনেই যে সে জঙ্গি নেতা সৈয়দ আহমেদ শাহবন্দরির সংস্পর্শে এসেছিল তা স্বীকার করে নিয়েছে মহম্মদের পরিবারও। তবে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই বলে দাবি তাঁর স্ত্রী নিখাত পারভিনের।
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত কয়েক জন জঙ্গিকে পরে বিহারের দ্বারভাঙা জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহম্মদের নামে রেড কর্নার নোটিস জারি করতে ইন্টারপোলকে অনুরোধ জানায় সিবিআই। মহম্মদকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁর স্ত্রী নিখাত।
পারভিনের আইনজীবী নৌশাদ আহমেদ খান আর্জিতে জানান, সৌদি আরবে সে দেশের পুলিশের সাহায্যে মহম্মদকে আটক করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। তার পরে মহম্মদের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তাকে ভারতে নিয়ে আসার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিতে আর্জি জানান তিনি।
কেন্দ্রের কাছে এই বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল কোর্ট। মহম্মদকে নিয়ে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে যে চিঠিপত্র লেখালেখি হয়েছে তা কোর্টে জমা দেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল গৌরব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মহম্মদ এখন সৌদি পুলিশের হেফাজতে। তাকে হাতে পাওয়ার জন্য কূটনৈতিক পথে চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি। মহম্মদকে ভারতে আনার অন্য কোনও পথ নেই।
সমস্ত চিঠিপত্র খতিয়ে দেখার পরে কোর্ট জানায়, মহম্মদ যে সৌদি হেফাজতে রয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। প্রত্যর্পণ নিয়ে সৌদি আরব সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার অধিকার সুপ্রিম কোর্টের নেই। এই বিষয়ে কেন্দ্রই পদক্ষেপ করতে পারে। |