চোদ্দো বছর পর্যন্ত বয়সের কোনও শিশুশ্রমিককে এর পরে আর কোনও কাজে নিয়োগ করা যাবে না। আগামী কাল এই বিষয়ে শ্রম মন্ত্রকের একটি প্রস্তাব নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আলোচনা করার কথা।
কালকের বৈঠকে যদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রস্তাবটি মেনে নেয়, তা হলে এর পর থেকে চোদ্দো বছর পর্যন্ত কোনও শিশুকে কোথাও নিয়োগ করলে তা আইনত অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এত দিন ১৯৮৬ সালের শিশুশ্রম (নিরোধক ও নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, এমন ক্ষেত্রে চোদ্দো বছরের কম বয়সী শিশুদের কাজের উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। ১৯৮৬ সালের পরে কয়েক
দফায় স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর বা ‘হ্যাজারডাস’ সংজ্ঞাটি বাড়ানো হয়। পশ্চিমবঙ্গ কিন্তু এর মধ্যেই চোদ্দো বছর পর্যন্ত শিশুদের যে কোনও
কাজে নিয়োগের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ বার সেই পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রও। প্রস্তাবটিতে আরও বলা হয়েছে, আইন ভাঙলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা বা তিন মাসের জেল বা দু’টো শাস্তিই পেতে হতে পারে।
প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে শিক্ষার অধিকার আইন পাশ করে কেন্দ্র। ফলে ৬ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত সব শিশুই এখন নিখরচায় শিক্ষা পাওয়ার অধিকারী। সঙ্গে পাবে মিড ডে মিলও।
প্রশাসনের যুক্তি, আগে এই সুযোগ না থাকায় দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারের শিশুদের কাজে নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১৪ বছর পর্যন্ত যেখানে পড়াশোনার অধিকার এবং তার সঙ্গে খাওয়া পেয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে, তখন গরিবি সীমার নীচে হলেও তাদের কাজ করার প্রয়োজন কোথায়?
পাশাপাশি, ১৪ থেকে ১৮ বছরের ক্ষেত্রেও আইন কঠোর করার প্রস্তাব রয়েছে। এ বার থেকে এই বয়সীদের আর কোনও ‘হ্যাজারডাস’ কাজে না লাগানোর প্রস্তাব করেছে শ্রম মন্ত্রক। |