মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, পথ দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। জানুয়ারি থেকে জুলাই, এই সাত মাসে শুধু বর্ধমান জেলায় জিটি রোডে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৯৯টি। মারা গিয়েছেন ৩১৯ জন। আহতের সংখ্যা ২৯৮। দুর্ঘটনা কমাতে সোমবার থেকে পালশিটের টোলপ্লাজায় এই নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন শুরু হয়েছে। চলবে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত। এ দিনের অনুষ্ঠানে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশিস সরকার বলেন, “গলসির সারুল, গলিগ্রাম ও বর্ধমানের ফাগুপুরে সিগন্যাল পোস্ট স্থাপন করা হবে।”
মুচিপাড়া থেকে বর্ধমান-হুগলির শেষ সীমানা জামালপুরের বসিপুর পর্যন্ত জিটি রোড ও দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটি বিপজ্জনক জায়গায় নিত্য ঘটছে দুর্ঘটনা। সেগুলি হল, গলসির সারুল, গলিগ্রাম ও বর্ধমানের ফাগুপুর। নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন অনুষ্ঠানে বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ |
পথ চলতি মানুষজনকে সতর্ক করতে হাজির করানো হয় পথ দুর্ঘটনায় জখম তিন ব্যক্তিকে। তাঁরা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানান। বিমা ও সরকারি সাহায্যের দাবিও জানান তাঁরা।
এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) অম্লানকুসুম ঘোষ বলেন, “শুধু সরকারি কর্মী ও পুলিশ সচেতন হলেই চলবে না। সিগন্যাল তো বসানো যেতেই পারে। সেটা কাজও করবে। কিন্তু সেই সিগন্যাল মেনে চলতে হবে সকলকে। না হলে দুর্ঘটনা কমানো যাবে না।”
পুলিশ সুপার জানান, জাতীয় সড়কে যে দিক দিয়ে যান চালানো উচিত, তার উল্টো দিক দিয়ে গাড়ি চালানোর প্রবণতা বাড়ছে। এই প্রবণতা রুখতে প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত বর্ধমান ও গলসিতে এই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্ত মোট ১১জন চালকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। |