নিয়ম বহির্ভূত ভাবে এক ছাত্রীকে ভর্তি নেওয়ার অভিযোগে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হল গলসি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কুমারেশ চট্টোপাধ্যায়কে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, অধ্যক্ষের নির্দেশেই এক ছাত্রীকে বিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘেরাওয়ের ব্যাপারে তাদের কাছে কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি। তবে সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে অধ্যক্ষকে বাড়ি পাঠায়।
ওই কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে থাকা ছাত্র সংসদের সংস্কৃতি সম্পাদক অপূর্ব দাঁ-র অভিযোগ, “কলেজের ভর্তি সংক্রান্ত প্রথম ও দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তার পরে অনেক ছাত্রছাত্রী কলেজে ভর্তি হতে এসেও ফিরে গিয়েছেন। এ দিকে, কলেজের এক শিক্ষাকর্মীর চাপে এক ছাত্রীকে বিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদেই আমরা অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেছি।”
টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অশোক রুদ্রের দাবি, “আইন ভাঙার জেরেই অধ্যক্ষ ঘেরাও হয়েছেন। তিনি যে ঠিক কাজ করেননি, তা স্বীকারও করেছেন।” তবু তাঁকে এতক্ষণ ঘেরাও করা হল কেন, সে প্রশ্নে অশোকবাবুর বক্তব্য, “আমরা দাবি জানিয়েছিলাম, বেআইনি ভাবে যে ছাত্রীটিকে ভর্তি করা হয়েছে, তা বাতিল করতে হবে এবং ওই শিক্ষাকর্মীকে সাজা দিতে হবে। কিন্তু অধ্যক্ষ তাতে রাজি না হওয়ায় ঘেরাও চালিয়ে যাওয়া হয়।”
দিনভর মোবাইল ফোন বন্ধ রাখায় অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহের পরিদর্শক দেবকুমার পাঁজা বলেন, “আমি সারাদিন বাইরে ছিলাম। তাই কী ঘটেছে বা কেন অধ্যক্ষ ঘেরাও হয়েছেন, জানি না। খোঁজ নেব।” কলেজসমূহের উপ-পরিদর্শক সুজিতকুমার চৌধুরী আবার বলেন, “দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের পরে পড়ুয়া-ভর্তি নিতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। তা না নিয়ে অধ্যক্ষ যদি কাউকে ভর্তি করিয়ে থাকেন, তা হলে বেআইনি কাজ হয়েছে।”
গলসি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অধ্যক্ষ কলেজে ছিলেন। তবে তাঁকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে, এই ধরনের অভিযোগ থানায় পৌঁছয়নি। পুলিশ কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। |