নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার জন্য প্রস্তাবিত জমি দেখতে সোমবার আসানসোলে গেলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ঘণ্টাখানেক তাঁরা প্রস্তাবিত জায়গাটি ঘুরে দেখেন। দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
কমিশনারেট গঠন হওয়ার পর থেকেই এলাকার স্বাস্থ্য ও শিক্ষার পরিকাঠামোর উন্নতিতে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি নজরুলের জন্মদিন উপলক্ষে কলকাতায় আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, আসানসোলে নজরুলের নামঙ্কিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় জমি খোঁজার কাজ শুরু হয়। আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক আসানসোলের কাল্লায় কুষ্ঠ হাসপাতাল সংলগ্ন প্রায় ৩৩ একর জায়গা চিহ্নিত করেন। আসানসোল মাইনস বোর্ড অফ হেলথের এই জমিটি দীর্ঘদিন ধরেই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মাস দেড়েক আগে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রতিনিধি দলও এই জমি পরিদর্শন করে গিয়েছেন। সোমবার সেই জমি দেখে গেলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এ দিন তিনি বলেন, “এক বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম শুরু হবে ও আগামী দু’বছরের মধ্যে পঠনপাঠন শুরু হয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন তৈরি করতে আনুমানিক তিন বছর সময় লাগবে।” এ দিন ব্রাত্যবাবু জানান, প্রাথমিক ভাবে ১৬টি কলেজকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আনা হবে। পরে তা আরও বাড়বে।
যে জমিতে বিশ্ববিদ্যালয় হবে সেটি আসানসোল মাইনস বোর্ড অফ হেলথের। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই জমি শিক্ষা দফতরকে হস্তান্তর করে দিতে কোনও বাধা নেই। যে কুষ্ঠ হাসপাতালটি রয়েছে সেটি আমরা বরাকরে তুলে নিয়ে যাব।” এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ দুই মন্ত্রী কাল্লায় প্রস্তাবিত জমিটি দেখতে যান। জমির একপাশে একটি পাথর খাদান রয়েছে। ব্রাত্যবাবু জানান, রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রকের কাছে এই পাথর খাদানটি ঘিরে দেওয়ার আর্জি জানানো হবে। |