মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় রবিবার রাতে এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠল কাঁকসার গোপালপুরে। হাতে ও মাথায় চোট পেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি অভিজিৎ চক্রবর্তী নামে ওই শিক্ষক। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর বাবা কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।
গোপালপুর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা অভিজিৎ চক্রবর্তী স্থানীয় গাড়াদহ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তিনি অভিযোগ করেন, উত্তরপাড়ার ফুটবল মাঠে প্রায় প্রতি সন্ধ্যায় মদ্যপানের আসর বসায় এক দল যুবক। মাঠের পাশেই একটি ক্লাব রয়েছে। সেই ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা অভিজিৎবাবু। তিনি জানান, রবিবার সন্ধ্যায় পাড়ার কচিকাঁচাদের নিয়ে ক্লাবে ‘পিকনিক’ করছিলেন। হঠাৎ মদ্যপ যুবকেরা গালিগালাজ শুরু করে। অভিজিৎবাবুর অভিযোগ, “খুদেদের সামনে এমন আচরণ করতে বারণ করি। সে কথা শুনে ওই যুবকেরা আরও খেপে যায়। আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। প্রতিবাদ করায় যথেচ্ছ কিল, চড়, ঘুষি মারে আমাকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ি।” তিনি জানান, কচিকাঁচাদের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আশপাশের বাসিন্দারা। বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় ওই যুবকেরা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। |
সোমবার হাসপাতালে শুয়ে অভিজিৎবাবু জানান, তিনি এক জন যুবককে চিনতে পেরেছেন। পাড়াতেই তার বাড়ি। তাঁর দাবি, “পাড়ার পরিবেশ নষ্ট করছে ওরা। কাল রাতে সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ওদের উৎপাত বন্ধ করতেই হবে।” তাঁর বাবা রণজিৎবাবু বলেন, “আমরা চাই এই ঘটনার বিরুদ্ধে এলাকায় জনমত গড়ে উঠুক।” কাঁকসা থানায় দায়ের করা অভিযোগে ঘটনায় জড়িত হিসেবে তিনি এক স্থানীয় যুবকের নাম জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা বৃন্দাবনপুর আদিবাসী প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক কল্যাণীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এমন ঘটনা যাতে ফের না ঘটে, সে ব্যাপারে এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। |