রাজ্য নেতৃত্বে ‘পরিবর্তনে’র সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য কমিটিতেও একগুচ্ছ নতুন মুখ তুলে আনল এসএফআই। আলিপুরদুয়ারে সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের ৩৪তম রাজ্য সম্মেলনের শেষ দিনে রবিবার ৮৯ জনের যে নতুন কমিটি তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে ৫৫ জনই নতুন। সংগঠনের নতুন রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন দেবজ্যোতি দাস। নতুন রাজ্য সভানেত্রী মধুজা সেন রায়।
সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনেও জেলা নেতৃত্বে রদবদল শুরু হয়েছে। যেমন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিটুর নতুন সভাপতি হয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের প্রাক্তন সাংসদ শমীক লাহিড়ী। আগের জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন আর এক প্রাক্তন সাংসদ সুজন চক্রবর্তী। তিনি ২০১০ সালে সিপিএমের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছেন। এ বার সুজনবাবুকে জেলা সিটুর সহ-সভাপতি করা হয়েছে। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য শমীক সম্প্রতি তাঁর অসুস্থতার জন্য দলের কাজ থেকে কিছু দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ‘অসন্তোষেই’ তাঁর এই আর্জি কি না, তা নিয়ে দলেই জল্পনা ছিল। সে দিক থেকে শমীকের জেলা সিটুর সভাপতি হওয়া ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ বলে সিপিএমের একটি সূত্রের মত।
এসএফআইয়ের নতুন রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পরে দেবজ্যোতির প্রতিক্রিয়া, “আমি এবং মধুজা, দু’জনেই বেশ কিছু দিন ধরে রাজ্য সংগঠনের কাজ করছি। এসএফআইয়ে ব্যক্তি নয়, সংগঠনই বড় কথা। দায়িত্ব পালন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।” দেবজ্যোতি যাঁর জায়গায় রাজ্য সম্পাদক হলেন, সেই সায়নদীপ মিত্র এ বার যুব সংগঠনে চলে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে ডিওয়াইএফআইয়ের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক করা হয়েছে। মধুজার পূর্বসূরি কৌস্তুভ চট্টোপাধ্যায় কলকাতা জেলা কমিটির অধীনে দলের কাজ করবেন বলে ঠিক হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বে রদবদল হওয়ার কথা সিপিএমের যুব সংগঠনেও। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক আভাস রায়চৌধুরী এ বারের সম্মেলন থেকে রাজ্য সভাপতি হতে পারেন। নতুন রাজ্য সম্পাদক হওয়ার সম্ভাবনা মুর্শিদাবাদের এক নেতার। নামখানায় জেলা সিটুর তিন দিনের সম্মেলন শেষে সংগঠনের জেলা সম্পাদক হয়েছেন রতন বাগচি। তৈরি হয়েছে ২৫ জনের জেলা সম্পাদকমণ্ডলী। |