উনিশ বছরের তরুণীটির বিয়ে হয়েছিল মাত্র তিন মাস আগে। নিখোঁজ ছিলেন বৃহস্পতিবার থেকে। রবিবার সেই তরুণীর পচাগলা দেহ পাওয়া গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুরে তাঁর শ্বশুরবাড়ির এলাকার একটি খালে। তার পরেই ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষিপ্ত জনতা মৃতার শ্বশুরবাড়ি এবং আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই তরুণীর নাম আজমিনা বিবি। এ দিন সকালে পুলিশ কাশীপুর থানার কাথজলার একটি খাল থেকে ইট বাঁধা অবস্থায় তাঁর গলিত দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, তিন মাস আগে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানা এলাকার পারুলগাছার বাসিন্দা আজমিনার সঙ্গে কাশীপুরে কাথজলা এলাকার ব্যবসায়ী বাহার আলি বৈদ্যের বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। মাসখানেক আগে আজমিনা বাপের বাড়ি ফিরে যান। গত বৃহস্পতিবারেই তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে বাহার। এবং সেই রাতেই ওই তরুণী বধূ নিখোঁজ হয়ে যান বলে শুক্রবার ডায়েরি করা হয় কাশীপুর থানায়। |
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়েছিল। তার পরে স্বামীই গলা টিপে স্ত্রীকে খুন করে বলে অভিযোগ। বাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। ইতিমধ্যে বাহারের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি খাল থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর খবর আসে। বাহারকে সঙ্গে নিয়ে সেই খালে তল্লাশি চালাতেই আজমিনার পচাগলা দেহ পাওয়া যায়। দেহ উদ্ধারের খবর আজমিরার বাপের বাড়ির গ্রামে পৌঁছতেই তিনটি ম্যাটাডর ভ্যানে চেপে শ’তিনেক লোক বাহারের বাড়িতে চড়াও হয়। বাহার এবং তার পড়শিদের কয়েকটি বাড়িতে শুরু হয় ভাঙচুর। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় কিছু বাড়িতে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও অশান্তির আশঙ্কায় এলাকায় পিকেট বসানো হয়েছে বলে জানান দক্ষিণ এসপি প্রবীণ ত্রিপাঠী। |