ভোর পাঁচটা থেকে টিভি খুলে বসে ছিলেন সচিন-ধোনিরা। নিউজিল্যান্ড-বধ নিয়ে অঙ্ক নয়, চোখ ছিল ‘ভাই’দের উপর। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে অনূর্ধ্ব উনিশ বিশ্বকাপটা জেতা যাবে কি না, সেটাই ছিল তখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এবং স্বপ্নপূরণের পর দেখা গেল বিরাট কোহলি প্রবল উত্তেজিত। চার বছর আগে তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বজয়ের স্মৃতিতে ডুবে। সচিন তেন্ডুলকর যেন খুঁজে পাচ্ছেন নিজের হাতে অস্ট্রেলিয়া-বধের স্বাদ। উন্মুক্ত চন্দদের অনূর্ধ্ব উনিশ বিশ্বকাপ জয় নিয়ে উপ্পলে টিম ইন্ডিয়ার সদস্যরা যে যা বললেন...
সচিন তেন্ডুলকর: আমাদের কাছে এটা একটা ভীষণ গর্বের দিন। ওদের বলার শুধু এটাই আছে যে, তোমরা কী করছ না করছ, সেটা গত কয়েক দিন ধরেই আমরা খেয়াল রাখছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তোমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ তুলছ, এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কী হতে পারে? আজও তোমাদের ম্যাচ দেখেছি। অভিনন্দন।
বিরাট কোহলি: সবার আগে ওদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। নিজে অনূর্ধ্ব উনিশ বিশ্বকাপ জিতেছি বলে জানি, অনুভূতিটা ঠিক কী রকম হতে পারে। তা-ও বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ায়। আমি তো ভাবতেই পারছি না যে, অস্ট্রেলিয়াকে ওদের দেশে হারিয়ে আমরা বিশ্বকাপটা জিতেছি। এই জয় ওদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে কোনও সন্দেহ নেই। বিশেষ করে বলব উন্মুক্তের কথা। ও রকম ব্যাটিং আমি ইদানীং কাউকে করতে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। হায়দরাবাদে যখন বৃষ্টি পড়ছিল, আমরা ড্রেসিংরুমে গিয়ে ওদের ম্যাচটা দেখছিলাম। একটাই কথা বলব। এই মুহূর্তটাকে উপভোগ করো। একই সঙ্গে বলব, খাটুনি কমিয়ে দিও না।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: উন্মুক্ত চন্দের ব্যাটিং দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ। এখানে টেস্টে আবার পূজারা দুর্দান্ত ব্যাট করল। অনূর্ধ্ব উনিশ টিমকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন: ভোর পাঁচটা থেকে উঠে ওদের ম্যাচ দেখছিলাম। কয়েক জনের ব্যাটিং দুর্দান্ত লাগল। যেমন স্মিথ পটেল। কিংবা বাবা অপরাজিত। তবে উন্মুক্তের ব্যাটিং দেখে মনে হল অন্য গ্রহের কেউ ব্যাট করল। অবিশ্বাস্য। এই জয়ের তাৎপর্যটা আলাদা। কারণ এটা হল অস্ট্রেলিয়ায়।
ডানকান ফ্লেচার: অস্ট্রেলিয়াতে রান তাড়া করার কাজ একেবারেই সহজ নয়। কিন্তু ভারতীয়রা এ বার সেটাই করে দেখিয়েছে। ওদের কাঠিন্য দেখে আমি একেবারে অভিভূত। নির্দিষ্ট কাউকে নয়, দলটার প্রত্যেক ক্রিকেটারকেই অভিনন্দন জানাচ্ছি। |