স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনকে ঘিরে বোমাবাজি ও ভোটারদের মারধর করার অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার বোলপুরের রাইপুর-সুপুর পঞ্চায়েতের বাঁকুটিয়া গ্রামের ঘটনা। খবর পেয়ে বোলপুরের এসডিপিও প্রশান্ত চৌধুরী এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনায় এক পুলিশকর্মী-সহ ৫ জন জখম হয়েছেন। তৃণমূল অবশ্য ঘটনার দায় চাপিয়েছে সিপিএমের উপর। জেলার পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। লিখিত কোনও অভিযোগ এখনও পাইনি।” |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বাঁকুটিয়ার শান্তিদেব ঘোষ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল। প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আনারুল খালেক জানান, মোট ভোটার ২৪৯ জন। ৬টি পদের জনো মোট ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ দিনের নির্বাচনের ফলাফলে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদেরই জয় হয়েছে। যদিও সিপিএমের পক্ষে অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যাপক বোমাবাজি করে তৃণমূল ওই ভোটে রিগিং করেছে।
সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সমীর ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “এ দিন তৃণমূল যে গণ্ডগোল ও সন্ত্রাস করবে তার আশঙ্কা আমরা আগেই করেছিলাম। এ বিষয়ে গত ১৮ অগস্ট পুলিশ ও প্রশাসনকে আমরা লিখিত ভাবে জানিয়েওছিলাম। এ দিনের ঘটনা আমাদের আশঙ্কাকেই প্রমাণ করল।” তাঁর দাবি, “রবিবার ভোট শুরু হতেই তৃণমূলের কর্মীসমর্থকেরা ব্যাপক বোমাবাজি করে। আমাদের পোলিং এজেন্টকে মারধরের পাশাপাশি লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের ভোটারদেরও মারধর করা হয়। আমাদের স্থানীয় একটি কার্যালেয় ভাঙচুরও করে তারা।” ওই এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
সিপিএমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “৩৪ বছর ধরে সিপিএমই সন্ত্রাস, খুন, রিগিংয়ের রাজনীতি করেছে। সন্ত্রাস করা তাদের সংস্কৃতি।” এ দিন দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দু’পক্ষই এ দিন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলেছেন।
এ দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে এই গণ্ডগোলের জেরে এ দিন গোটা এলাকা থমথমে ছিল। বরাবর বামেদের দখলে থাকা ওই পরিচালন সমিতি দখলে নেওয়াটা শাসকগোষ্ঠীর কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও এক মন্ত্রীর বাড়ির এলাকার ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে এই জয় তাৎপর্যপূর্ণ। |