ইস্টবেঙ্গল- ৪ (পেন, বলজিৎ-২, চিডি)
কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ- ০ |
আ্যলান গাওয়ের জন্য আর হা-হুতাশ করার হয়তো দরকার নেই! ট্রেভর মর্গ্যানের রত্নের ভাণ্ডারে ‘স্পট কিক’ বিশেষজ্ঞের অভাব মুছে দিচ্ছেন লালরিন্দিকা লালতে।
টোলগে ওজবের চিন্তায় আর রাতের ঘুম হয়তো নষ্ট করতে হবে না। গোলের ঝুলি নিয়ে ময়দানে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ফেলেছেন চিডি এডে।
পেন ওরজির চোট কিংবা মেহতাব হোসেনের জাতীয় দলে চলে যাওয়া নিয়েও আর মাথা হয়তো ঘামাতে হবে না। মাঝমাঠকে সমৃদ্ধ করতে তারুণ্যের ঝড় আছড়ে পড়েছে লাল-হলুদে। সেই ঝড়ে অধিনায়ক সঞ্জু প্রধানেরও প্রথম দলে ঢোকা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে।
চতুর্থ বিদেশি-চতুর্থ বিদেশি করে মর্গ্যানের বিলাপ থামার সময়ও হয়তো চলে এসেছে। ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ বেঞ্চকেই গতবারের প্রথম দল লাগছে যে! |
যে ‘নিউক্লিয়াস’ নিয়ে মরসুম শুরু করেছেন মর্গ্যান, তাতে শুধু কলকাতা লিগই নয়, আসন্ন ফেড কাপে সর্বভারতীয় তারকা টিমগুলোরও ঘুম ছুটিয়ে দিতে পারে ইস্টবেঙ্গল। প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দু’ম্যাচেই ন’গোল। বলজিতের একারই পাঁচটা। শনিবার অবশ্য কালীঘাট মিলন সঙ্ঘের বিরুদ্ধে তাঁর দু’টো গোলেই চিডি এবং পেনের প্রচুর অবদান রয়েছে। ডান দিক থেকে চিডির তোলা নিখুঁত ভাসানো বলে শুধু মাথা ছোঁয়াতে হয়েছিল বলজিতের। বিরতির পরে পেনের গোলমুখী ক্রস বিপক্ষের জালে ঢোকাতেও তেমন পরিশ্রম করতে হয়নি তাঁকে।
ইস্টবেঙ্গলের এ দিনের ‘গোল-যাত্রা’ শুরু পেনের পায়ে। লম্বা ছুটি কাটানোর পরে মাঠে নেমেই জ্বলে উঠলেন লাল-হলুদের হৃৎপিণ্ড। লোবো কিংবা লালরিন্দিকার মতো তরুণরা চলে আসায় মর্গ্যান নিশ্চিন্ত হতে পারেন ঠিকই। তবে তাঁর দলে পেন যে এখনও অপরিহার্য, সেটা আবারও বুঝিয়ে দিলেন নাইজিরিয়ান মিডিও। মাঝমাঠের দখল নিয়ে পাসিং ফুটবলের চিত্র তুলে ধরলেন। সেই সঙ্গে উপরি একটি দুরন্ত গোল। বিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে চার জনকে কাটিয়ে ডান পায়ের দুরন্ত শটে। গোলকিপার নড়ার সময় পাননি। পেন দিয়ে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল শেষ করল চিডির চোখ-ধাঁধানো গোলে। প্রায় তিরিশ গজ দূর থেকে তাঁর ডান পায়ের জোরালো শট সিধে কালীঘাট-জালে। ম্যাচ শেষে মর্গ্যান বলছিলেন, “চিডির অনেক গোল দেখেছি। কিন্তু আজকের গোলটা আমার দেখা সেরা।” শুরুতে একটা সিটার নষ্ট না করলে বলজিতের মতোই জোড়া গোল বাঁধা ছিল চিডির। |
মাত্র দু’টো ম্যাচ দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছনো সম্ভব নয়। ঠিক। তবে একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যেতেই পারে। গত দু’বারের তুলনায় এ বার লাল-হলুদ ব্রিগেডে একটা নতুন অস্ত্র আমদানি করেছেন ব্রিটিশ কোচ। প্রতিযোগিতা। যেখানে লড়াই যেন ‘বন্ধু’দের বিপক্ষেই। শত্রুদের সঙ্গে নয়!
ইস্টবেঙ্গল: গুরপ্রীত, অর্ণব, ওপারা, সৌমিক, নওবা (অভিষেক), পেন (লোবো), লালরিন্দিকা (ভাসুম), ইসফাক, হরমনজোৎ, বলজিৎ, চিডি।
|